নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় চীনে নেওয়ার প্রয়োজনে হলে সে ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে আসা চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল। আজ সোমবার সকালে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শনে যায় চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদলটি। এ সময় তারা আহত রোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পরিদর্শন শেষে চীনা চিকিৎসকদল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায়। চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪২ জন রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন চীনা বিশেষজ্ঞ দল। তারা আহতদের চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধার বিষয়েও তথ্য নেন। সময় ও সুযোগ পেলে আহত সবাইকে চিকিৎসা দেবে চীনা বিশেষজ্ঞরা। আহতদের কাউকে দেশের বাইরে নিতে হলে তার প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের। চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপেং এ বিষয়ে বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা আহতদের দেখতে এসেছেন। তারা কীভাবে আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে তাদের অবস্থা কেমন তা দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তাদের কী ধরনের উন্নতি হয়েছে তাও দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, চীনা বিশেষজ্ঞ দল রোগীদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও উন্নতির বিষয়গুলো দেখছেন। তারা চক্ষু হাসপাতালে সুযোগ-সুবিধাও দেখেছেন। সম্ভব হলে তারা এখানকার সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করবেন। আর যদি প্রয়োজন হয় তারা রোগীদের চীন নিয়ে যাবেন। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক বলেন, প্রথম দফায় ২০ জন রোগী নির্বাচন করা হয়। আরও ছয়জনকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। এ ২৬ জনকে তারা দেখবেন। সুযোগ ও প্রয়োজন হলে বাকিদেরও তারা দেখবেন। এরপর চীনের বিশেষজ্ঞ দল জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) আহত রোগীদের দেখতে যায়। এদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আহতদেরও দেখতে যাবেন বলেও জানা যায়। গত রোববার চীনা চিকিৎসক ডং কুইআন নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকায় আসে চীনা মেডিকেল টিম।
https://slotbet.online/