• বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী তীব্র শিক্ষক সঙ্কট নিয়েই চলছে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ ৮ দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির আদেশ বহাল দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোয়াংছড়ি উপজেলার কুকি চীন সন্ত্রাসী বাহিনীরা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির গ্রস্তে সেনা পরিদর্শন করেন ১৬ আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলো পণ্যবাহী নতুন লাগেজ ভ্যান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

ভোটে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতিসহ ৮ দাবি সাংবাদিকদের

Reporter Name / ৩৮ Time View
Update : রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সব নির্বাচনের খবর সংগ্রহে মোটরসাইকেল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ আট দফা দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। আজ রোববার রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) ব্যানারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি দেন তারা। এতে সাংবাদিকরা গত ১২ এপ্রিল জারি করা সংবাদ সংগ্রহে ইসির নীতিমালা প্রত্যাখ্যানের কথাও তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-
১. নির্বাচন কমিশনের অনুমতিপ্রাপ্ত কার্ডধারী সাংবাদিকদের কোনো ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষে (গোপন ভোটকক্ষ নয়) প্রবেশ করতে কারো কোনো অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সাংবাদিক কার্ডই চূড়ান্ত অনুমতিপত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। কেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি বাতিল করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে ইসির তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ভোটগ্রহণের অনিয়মের সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসাররা যুক্ত ছিলেন। সুতরাং কোনো অনিয়মে যদি কোনো কর্মকর্তা যুক্ত থাকেন তাহলে অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া অনুমতি নিতে যে বিলম্ব ঘটবে, তার মাধ্যমে কারচুপি আড়াল করার সুযোগ তৈরি হবে।
২. নির্বাচন কাভারেজে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে। দেশের এমন অনেক ভোটকেন্দ্র আছে যেখানে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না।
৩. ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারে ইসির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে তাৎক্ষণিক সংবাদ প্রচার করতে হয়। এ ছাড়া সরাসরি সম্প্রচার হলে ভোট নিয়ে প্রশ্ন অনেকাংশেই কমে যাবে।
৪. ভোটকক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে যে ব্যক্তিরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকেন, তাদের বক্তব্য ছাড়া যে কোনো মাধ্যমের প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ হবে।
৫. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিক নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে ডিসি (জেলা প্রশাসক) অফিস কিংবা নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সাংবাদিক কার্ড যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হতে হবে।
৬. কোনো গণমাধ্যমকর্মী অহেতুক দীর্ঘক্ষণ কোনো ভোটকক্ষে অবস্থান করেন না, যদি না ভোটে কোনো ধরনের অনিয়মের চিত্র তাদের কাছে ধরা পড়ে। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, একটি ভোটকক্ষে ১০ মিনিটের বেশিক্ষণ অবস্থান করা যাবে না। সাংবাদিকদের কাজ সময় দিয়ে বেঁধে দেয়ার বিষয়টি বাতিলের দাবি জানানো হলো।
৭. প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা কিংবা আলোচিত প্রার্থীরা যখন ভোট দিতে যান, তখন ছবি-ফুটেজ কিংবা সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন টেলিভিশন ও পত্রিকার সংবাদকর্মীরা। এ ক্ষেত্রে অনেকজন সংবাদকর্মীকে একত্রে কোনো কক্ষে প্রবেশ করতে হয়। এ ছাড়া সাধারণত কোনো ঘটনা ছাড়া একাধিক গণমাধ্যমকর্মী একটি কেন্দ্রে প্রবেশও করেন না। তাই দুইজনের বেশি একটি কক্ষে ঢুকতে পারবেন না বলে নীতিমালায় যে ধারাটি রয়েছে, তা বাতিল করা উচিত বলে মনে করি আমরা।
৮. সর্বশেষ, ভোটের দিন নির্বাচনে ইন্টারনেটের ব্যবহার সচল রাখতে নির্দেশনা দেবে নির্বাচন কমিশন।
আরএফইডির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সংবিধানের ৩৯ (১) অনুচ্ছেদের (খ) উপ-অনুচ্ছেদে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। এই নিশ্চয়তা কোনো শর্তযুক্ত নয়। সুতরাং কোনো বিধি-বিধান, আইন এই স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। আর যদি তা করা হয় তাহলে তা হবে সংবিধানের লঙ্ঘন। সাংবাদিকরা বলেন, গত ১২ এপ্রিল কমিশন যে নীতিমালা জারি করেছে, তাতে আমরা হতাশ ও বিস্মিত হয়েছি। মতবিনিময় সভায় আরএফইডি লিখিতভাবে সাত দফা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিয়েছিল। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, এগুলো বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। কিন্তু ঘোষিত এই নীতিমালায় আমাদের কোনো দাবিই আমলে নেওয়া হয়নি, যা ২০১৮ নীতিমালার অনুরূপ হয়েছে। একে কার্বন কপি বলা যেতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের সহায়ক শক্তি গণমাধ্যম। তবে নীতিমালার নামে স্বাধীন সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ কখনোই মেনে নেবে না আরএফইডি। ইতোমধ্যে এই নীতিমালা দেশে বিদেশে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। সুতরাং অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নীতিমালায় সংশোধনের দাবি জানাই আমরা। নতুবা আরএফইডি সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে দাবি আদায়ে সচেষ্ট হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category