• বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
বান্দরবানে জেলা প্রশাসকের আদেশে পিতার মৃত্যুতে এক যুবককে প্যারোলে মুক্তি ত্রিপুরা ও খেয়াং সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গেরদের সাথে মতবিনিময় বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আ. লীগ: কাদের ডেঙ্গু বৃদ্ধির জন্য দায়ী জলবায়ুর পরিবর্তন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরকারি চাকরি থেকে অবসরের ৩ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা যাবে না: হাইকোর্ট রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ঋণ নয়, বিশ্বব্যাংক-এডিবির অনুদান চায় টিআইবি ডাণ্ডাবেড়ির বৈধতা প্রশ্নে রুল: যুবদল নেতাকে চিকিৎসা দিতে নির্দেশ সংসদ নির্বাচনে কোনো হুমকি দেখছি না: আইজিপি ধানের দাম কম, উৎপাদন খরচ ফেরত পাচ্ছে না চাষীরা, ক্ষতির মুখে কৃষক ১৭০টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে দেবে না আওয়ামী লীগ

ভ্যাট দিতে গড়িমসি করছে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো

Reporter Name / ১৩৪ Time View
Update : শনিবার, ১১ জুন, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভ্যাট দিতে গড়িমসি করছে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো। ভ্যাট কমিশনারেট অফিস থেকে চিঠি দিয়ে বারবার তাগাদা দিলেও কোম্পানিগুলো তাতে সাড়া দিচ্ছে না। সয়াবিন ও পাম অয়েল পরিশোধনকারী কোনো কোনো কোম্পানি গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের প্রথম ১৩ দিনের উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট পরিশোধ করছে না। বরং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে উল্টো ওই সময়ের ভ্যাট মওকুফ চেয়ে কোম্পানিগুলো আবেদন করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে ভোজ্যতেলের বাজারের অস্থির অবস্থা থেকে স্বস্তি ফেরাতে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) অব্যাহতি ঘোষণা করেছে সরকার। আমদানিনির্ভর ওই দুই ধরনের তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। সরকার আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ধরনের ভ্যাট নেবে না। সরকারের ওই সিদ্ধান্তের পর কয়েকটি ভোজ্যতেল কোম্পানি গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের প্রথম ১৩ দিনের ভ্যাট পরিশোধ করছে না। বরং ওই সময়ের ভ্যাটও মওকুফ চাচ্ছে কোম্পানিগুলো। ওই দেড় মাসে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো ভ্যাট হবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, বছরে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে ২০ লাখ টন। তার মধ্যে ১৮ লাখ টনই আমদানির মাধ্যমে মেটানো হয়। প্রধানত সয়াবিন ও পাম অয়েল আমদানি হয়। প্রতি মাসে গড়ে দেড় লাখ টন করে ভোজ্যতেল পরিশোধন করে কোম্পানিগুলো। সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কোম্পানিসহ দেশের পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করে দেশের বাজারে সরবরাহ করে। ওই পরিশোধন ব্যবস্থাকেই স্থানীয় উৎপাদন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, সরকার মূলত বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও সরবরাহ সংকটের মধ্যে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম স্থিতিশীল রাখতেই ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তারপরও সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কমেনি। বরং প্রতি লিটারে দাম ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ টাকা এবং পাম অয়েলের দাম ১৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে ওই দামে ভোজ্যতেল বিক্রিও হচ্ছে।
এদিকে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলোর ভ্যাট মওকুফ প্রসঙ্গে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, কোনোভাবেই কোম্পানিগুলো ওই ভ্যাট মওকুফ পেতে পারে না। কারণ ওই সময়ের ভ্যাট যোগ করেই কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করেছে। ডিলার, খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তাদের কাছ থেকে তারা ভ্যাট সংগ্রহ করে নিয়েছে। ভোক্তাদের থেকে সরকার নির্ধারিত রাজস্ব সংগ্রহ করার পর কোম্পানিকে তা মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category