০৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ | ই-পেপার

মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:০০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৬৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৪৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৩১ মিলিয়ন। এই হিসাবে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৯২ দশমিক ১১ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ৮৫.২১ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা ৬৯ পয়সা। দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থার সঙ্গে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ চুক্তির পরিমাণ ৯৫ হাজার ৯০৮ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় হয়েছে। ছাড়ের অপেক্ষায় আছে ৪৬ হাজার ৪৫০ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অসীম কুমার উকিলের (নেত্রকোনা-৩) প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বিপণী বিতান যেমন স্বপ্ন, আগোরা, প্রিন্সবাজার, ডিএসএস ও লাজফার্মাসহ বড় বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের নিকট থেকে যে ভ্যাট আদায় করে তা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হয়। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে সুপার সপ ‘স্বপ্ন’ হতে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা, আগোরা হতে ১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, প্রিন্স বাজার হতে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও ডিএসএস হতে ৫ লাখ টাকা আদায় হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এ তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ওষুধের মূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে সব ভ্যাট উৎপাদন পর্যায়ে আদায় হয়ে থাকে। তাই খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে ভোক্তার নিকট হতে ভ্যাট আদায় করে তা জমা দিতে হয় না। লাজফার্মা ছাড়া অন্যান্য পণ্যের ওপর আদায়কৃত মূসক সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে থাকে। লাজফার্মা হতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। তিনি বলেন, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ অনুযায়ী ভ্যাট আদায়কালীন স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ক্রেতাকে মূসক-৬ দশমিক ৩ ফর্মে একটি ভ্যাট চালান প্রদান করা ইতোমধ্যে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে স্বস্তিকর পরিস্থিতি এসেছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা

আপডেট সময়ঃ ০৮:০০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৪৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৩১ মিলিয়ন। এই হিসাবে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৯২ দশমিক ১১ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ৮৫.২১ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা ৬৯ পয়সা। দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থার সঙ্গে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ চুক্তির পরিমাণ ৯৫ হাজার ৯০৮ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় হয়েছে। ছাড়ের অপেক্ষায় আছে ৪৬ হাজার ৪৫০ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অসীম কুমার উকিলের (নেত্রকোনা-৩) প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বিপণী বিতান যেমন স্বপ্ন, আগোরা, প্রিন্সবাজার, ডিএসএস ও লাজফার্মাসহ বড় বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের নিকট থেকে যে ভ্যাট আদায় করে তা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হয়। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে সুপার সপ ‘স্বপ্ন’ হতে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা, আগোরা হতে ১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, প্রিন্স বাজার হতে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও ডিএসএস হতে ৫ লাখ টাকা আদায় হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এ তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ওষুধের মূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে সব ভ্যাট উৎপাদন পর্যায়ে আদায় হয়ে থাকে। তাই খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে ভোক্তার নিকট হতে ভ্যাট আদায় করে তা জমা দিতে হয় না। লাজফার্মা ছাড়া অন্যান্য পণ্যের ওপর আদায়কৃত মূসক সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে থাকে। লাজফার্মা হতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। তিনি বলেন, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ অনুযায়ী ভ্যাট আদায়কালীন স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ক্রেতাকে মূসক-৬ দশমিক ৩ ফর্মে একটি ভ্যাট চালান প্রদান করা ইতোমধ্যে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।