০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ | ই-পেপার

মাদকাসক্ত সন্তানকে আটকের জন্য বাবা-মা আসেন আমার কাছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রাজধানীর কেরানীগঞ্জের এক মাদকাসক্ত সন্তানকে আটকের জন্য তার বাবা-মা আমার কাছে এসেছিলেন। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে একদিন কেরানীগঞ্জের, আমি নাম বলবো না, তার বাবা-মা চলে আসছেন আমার কাছে। দুজনেরই অঝোরে কান্না। বলছেন যে, আমার ছেলেকে আপনি আটক করেন। আমি তখন বললাম- কেন তোমার ছেলেকে আটক করবো। জবাবে ওই সন্তানের বাবা-মা বলেন- আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমার বাড়ি ঘরের সব জিনিস বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা তার বাবা-মা। আমাদেরও মারছে। তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ঐশির কথা ভুলে যাননি। মাদকাসক্ত হলে মানুষ কী করে? তাদের যে জ্ঞান, তা হারিয়ে ফেলে, সবকিছু হারিয়ে ফেলে। সেটার জন্য তাদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেই ব্যাপারে কাজ করছি। এ সময় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ক্রাইটেরিয়া মেনে চললে মদের বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, একটা হলো সফট ড্রাগস আরেকটি হলে হার্ড ড্রাগস। সফট ড্রাগস সারা বিশ্বেই চলছে। আমাদের এখানেও লাইসেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে, কয়েকটি হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্লাবকে লাইসেন্স দিয়েছি। তারা শর্ত মেনে চলছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাইসেন্স দিচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, এর আওতা বাড়বে কিনা এটা নির্ভর করে নিয়ম কানুন কতটা মেনে চলছে তার ওপর। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যারাই আমাদের নিয়ম মেনে চলতে পারবে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কয়েকটি ক্রাইটেরিয়া আছে যখন সেগুলো ফুলফিল করতে পারবে তখন তারা লাইসেন্স পাবে। এদিকে প্রচারণার কৌশল হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার জন্য সরকারকে দায়ী করে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ হামলায় তাদের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, এখানে বহুদলীয় রাজনীতি সু-প্রতিষ্ঠিত। এখানে রাজনৈতিক অঙ্গন সবসময়ই উন্মুক্ত। কিন্তু যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, যারা ভাঙচুর করে। যারা জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ায়, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, মানুষের জানমাল অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেন, তখনই শুধু সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর হস্তক্ষেপ করে। তিনি বলেন, তারা মিটিং করছেন, তারা মানববন্ধন করছেন, তারা রাজনৈতিকভাবে যেগুলো করণীয় সেগুলো করছেন। আমরা মনেকরি, তাদের যেগুলো করার অধিকার সেগুলো তারা করছেন। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই। একটি দল রাজনীতির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করবে, এগিয়ে যাবে, এটিও আমাদের কাম্য। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন সরকার পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেখুন এগুলো হলো রাজনৈতিক কৌশল, অনেকে এ ধরনের প্রচারণা করেন। এগুলো প্রচারণার জন্যই তারা বলে থাকেন। এগুলোর অনেক কিছুর মধ্যেই সত্যতা নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সমুদ্রসম্পদ আহরণের জন্য গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে:চসিক মেয়র

মাদকাসক্ত সন্তানকে আটকের জন্য বাবা-মা আসেন আমার কাছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রাজধানীর কেরানীগঞ্জের এক মাদকাসক্ত সন্তানকে আটকের জন্য তার বাবা-মা আমার কাছে এসেছিলেন। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে একদিন কেরানীগঞ্জের, আমি নাম বলবো না, তার বাবা-মা চলে আসছেন আমার কাছে। দুজনেরই অঝোরে কান্না। বলছেন যে, আমার ছেলেকে আপনি আটক করেন। আমি তখন বললাম- কেন তোমার ছেলেকে আটক করবো। জবাবে ওই সন্তানের বাবা-মা বলেন- আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমার বাড়ি ঘরের সব জিনিস বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা তার বাবা-মা। আমাদেরও মারছে। তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ঐশির কথা ভুলে যাননি। মাদকাসক্ত হলে মানুষ কী করে? তাদের যে জ্ঞান, তা হারিয়ে ফেলে, সবকিছু হারিয়ে ফেলে। সেটার জন্য তাদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেই ব্যাপারে কাজ করছি। এ সময় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ক্রাইটেরিয়া মেনে চললে মদের বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, একটা হলো সফট ড্রাগস আরেকটি হলে হার্ড ড্রাগস। সফট ড্রাগস সারা বিশ্বেই চলছে। আমাদের এখানেও লাইসেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে, কয়েকটি হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্লাবকে লাইসেন্স দিয়েছি। তারা শর্ত মেনে চলছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাইসেন্স দিচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, এর আওতা বাড়বে কিনা এটা নির্ভর করে নিয়ম কানুন কতটা মেনে চলছে তার ওপর। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যারাই আমাদের নিয়ম মেনে চলতে পারবে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কয়েকটি ক্রাইটেরিয়া আছে যখন সেগুলো ফুলফিল করতে পারবে তখন তারা লাইসেন্স পাবে। এদিকে প্রচারণার কৌশল হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার জন্য সরকারকে দায়ী করে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ হামলায় তাদের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, এখানে বহুদলীয় রাজনীতি সু-প্রতিষ্ঠিত। এখানে রাজনৈতিক অঙ্গন সবসময়ই উন্মুক্ত। কিন্তু যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, যারা ভাঙচুর করে। যারা জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ায়, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, মানুষের জানমাল অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেন, তখনই শুধু সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর হস্তক্ষেপ করে। তিনি বলেন, তারা মিটিং করছেন, তারা মানববন্ধন করছেন, তারা রাজনৈতিকভাবে যেগুলো করণীয় সেগুলো করছেন। আমরা মনেকরি, তাদের যেগুলো করার অধিকার সেগুলো তারা করছেন। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই। একটি দল রাজনীতির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করবে, এগিয়ে যাবে, এটিও আমাদের কাম্য। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন সরকার পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেখুন এগুলো হলো রাজনৈতিক কৌশল, অনেকে এ ধরনের প্রচারণা করেন। এগুলো প্রচারণার জন্যই তারা বলে থাকেন। এগুলোর অনেক কিছুর মধ্যেই সত্যতা নেই।