০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ | ই-পেপার

মাদক মামলায় পরীমনিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকজনের সাক্ষ্য

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

এড. মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল :
রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন জব্দ তালিকার সাক্ষী রাজিব হাসান। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী হাজিরা দেন। এরপর আদালত জব্দ তালিকার সাক্ষীর জবানবন্দি নেন। এ সময় আসামিপক্ষ জেরার জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। গত ১২ মে পরীমনির আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত ২ জুন আদালত পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করেন। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। পরদিন গত ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমনিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এই মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা

মাদক মামলায় পরীমনিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকজনের সাক্ষ্য

আপডেট সময়ঃ ০৮:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

এড. মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল :
রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন জব্দ তালিকার সাক্ষী রাজিব হাসান। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী হাজিরা দেন। এরপর আদালত জব্দ তালিকার সাক্ষীর জবানবন্দি নেন। এ সময় আসামিপক্ষ জেরার জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। গত ১২ মে পরীমনির আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত ২ জুন আদালত পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করেন। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। পরদিন গত ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমনিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এই মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।