০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ | ই-পেপার

মাদারীপুরে শিশু আদুরী হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামে শিশু আদুরী হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। এ সময় একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা সোমবার সকালে এই রায় প্রদান করেন। মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজৈর পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে রাজিব হাওলাদার( ৪১), কোদালিয়া বাজিতপুরের মুহিত গাছীর ছেলে রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী (৩২) ও পিরোজপুর জেলার ভৈরমপুরের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা (৩১)। বিচারক মৃত্যুদ-ের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া এ মামলায় বাগেরহাট জেলার সেলিম হাওলাদারের (৪১) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেনদিয়া জামে মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় টুকু সরদারের মেয়ে আদুরী আক্তার (০৫)। নিহতের বাবা টুকু সরদার বাদী হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ওই মসজিদের ইমাম শফিকুল ইসলামকে রাজৈর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তিনি পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মসজিদের পাশ থেকে আদুরী আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে মামলার চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তিন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে অদ্যাবধি পলাতক রয়েছেন। রায়ের দিন মামলার এক আসামি রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহতের বাবা টুকু সরদার বলেন, আমার মেয়ে হত্যার রায়ে আমি খুশি হয়েছি। আমার সরকারের কাছে একটাই দাবি এই ফাঁসির রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সমুদ্রসম্পদ আহরণের জন্য গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে:চসিক মেয়র

মাদারীপুরে শিশু আদুরী হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

আপডেট সময়ঃ ০৮:০৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামে শিশু আদুরী হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। এ সময় একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা সোমবার সকালে এই রায় প্রদান করেন। মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজৈর পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে রাজিব হাওলাদার( ৪১), কোদালিয়া বাজিতপুরের মুহিত গাছীর ছেলে রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী (৩২) ও পিরোজপুর জেলার ভৈরমপুরের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা (৩১)। বিচারক মৃত্যুদ-ের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া এ মামলায় বাগেরহাট জেলার সেলিম হাওলাদারের (৪১) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেনদিয়া জামে মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় টুকু সরদারের মেয়ে আদুরী আক্তার (০৫)। নিহতের বাবা টুকু সরদার বাদী হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ওই মসজিদের ইমাম শফিকুল ইসলামকে রাজৈর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তিনি পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মসজিদের পাশ থেকে আদুরী আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে মামলার চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তিন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে অদ্যাবধি পলাতক রয়েছেন। রায়ের দিন মামলার এক আসামি রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহতের বাবা টুকু সরদার বলেন, আমার মেয়ে হত্যার রায়ে আমি খুশি হয়েছি। আমার সরকারের কাছে একটাই দাবি এই ফাঁসির রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।