• বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার

মানিকগঞ্জে বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী-সন্তানের অবস্থা আশঙ্কাজনক

Reporter Name / ১০১ Time View
Update : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মানিকগঞ্জ জেলা পশু হাসপাতালের পাশের একটি বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ রাশেদুল ইসলাম (৪৫) মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে নিহতের দগ্ধ স্ত্রী ও শিশু সন্তানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আজ বুধবার সকালে নিহত ওই ব্যক্তির বড় ভাই মো. রসুলদী গণমাধ্যমকে মৃত্যুর বিষয়টি জানান। দগ্ধদের পরিবার সূত্রে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আবদুর রউফ সরকার বলেন, অগ্নিদগ্ধ চারজনের একজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনসিস্টটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জে পৌরসভার নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা করেন রাশেদুল ইসলাম। এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকেন তিনি। সোমবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে বাসার দরজা ও জানালা বন্ধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। ফ্ল্যাটের একরুমে রাশেদুল ও মাংসের দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (৩৮) এবং অন্য রুমে রাশেদুলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও আড়াই বছরের সন্তান রিফাত ঘুমিয়ে পড়েন। গত মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে ওঠে সবাইকে ডেকে তুলে। পড়ে রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ¦ালানোর পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ফ্ল্যাটের একটি রুমের দেয়াল ধসে যায়। এতে রাশেদুল, তার স্ত্রী সোনিয়া, শিশু রিফাত ও দোকানের কর্মচারী ফারুক দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রাশেদুল, তার স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনসিস্টটিউটে পাঠানো হয়। দগ্ধ ফারুককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত রাশেদুলের বড় ভাই মো. রসুলদী জানান, তার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনসিস্টটিউটে ভর্তি করা হয়। পড়ে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেলে তার ভাইকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসকেরা তার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজাকেও ওই হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ ফারুক হোসেন বলেন, তিতাস গ্যাসের লাইনে গ্যাস না থাকায় গত সোমবার সংযোগ চালু রেখেই সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। গত মঙ্গলবার ভোরে কক্ষের ভেতর উৎকট গন্ধ ছড়ালেও আমরা তা বুঝতে পারিনি। দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ¦ালানোর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা (লিডার) বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের বেলা দরজা-জানালা বন্ধ করে গ্যাসের লাইন চালু ছিল। পড়ে কোনো কারণে আগুন জ¦ালানোর পর বন্ধ রুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category