নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন রয়েল রিসোর্টের তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী। আজ সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট থেকে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষ্যদাতারা হলেন রিসোর্টের আনসার সদস্য গার্ড রতন বড়াল, সুপারভাইজার আবদুল আজিজ ও রিসিপশন অফিসার নাজমুল ইসলাম অনিক। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামুনুল হক ধর্ষণকাজে জড়িত বলে তারা সবাই স্বীকার করেছেন। এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় কঠোর নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে। পরে দুপুর ২টায় তাকে কঠোর নিরাপত্তায় কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, রিসোর্টের তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। তার আগে গত ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়। গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।