নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের বগিতে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। পরে আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শমসেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ট্রেনের পাওয়ার কার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরে আগুন পাশের দুটি এসি বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে কমলগঞ্জের ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল থেকে আরও তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। এক ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে আগুনের ঘটনায় সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সেই রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়। শমসেরনগর স্টেশন মাস্টার জামাল উদ্দিন জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৮) ট্রেনটি বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে শসমেরনগর রেল স্টেশন অতিক্রমের মধ্য দিয়ে ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের যোগাযোগ চালু হলো। অগ্নিকা-ের পর থেকে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লংলা স্টেশনে আটকা পড়েছিল। আগুনে পুড়ে যাওয়া বগিগুলো ঘটনাস্থল থেকে শমসেরনগর স্টেশনে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে শমশেরনগর রেল স্টেশন অতিক্রম করার পর থেকেই ট্রেনের জেনারেটরের বগিতে আগুনের সূত্রপাত দেখা যায়। এরপর প্রায় ৪ কি.মি. অতিক্রমের পর ট্রেন থামানো হয়। তখন যাত্রীরা দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে যান। ট্রেনের কর্তৃপক্ষ আগুন লাগা দু’টি বগি বিচ্ছিন্ন করে দেন। ট্রেনের জেনারেটর বগি ও পার্শ্ববর্তী যাত্রীবাহী বগিতে আগুন জ¦লতে দেখা যায়। আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক মো. ইসমাইল বলেন, ট্রেনের পাওয়ার কার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ট্রেন থামানোর পর দেখা যায় চাকার মধ্যে আগুন ও পরে তেলের ট্যাঙ্কিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের জেলা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হারুণ পাশা বলেন, অগ্নিকা-ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। এই অগ্নিকা- নিয়ন্ত্রণে মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ এবং কুলাউড়া মোট চারটি ইউনিট সম্মিলিতভাবে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।