১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ | ই-পেপার

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন: তাজুলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে মাদকসেবী তাজুল ইসলামের (৫৫) স্বাভাবিক মৃত্য হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, তাজুলের মৃত্যুর ঘটনায় গত সোমবার রাতেই হারাগাছ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন এবং মঙ্গলবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তাজুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার ফরেনসিক বিভাগ থেকে তাজুলের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক উল্লেখ করেছেন যে, তাজুলের মৃত্যু স্ট্রকজনিত কারণে হয়েছে এবং তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আবু মারুফ হোসেন আরও বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে হারাগাছ থানা পুলিশের একটি দল ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদকবিরোধী অভিযানে বের হয়। এ সময় অভিযানিক দলের কাছে তথ্য আসে যে, হারাগাছ পৌর এলাকার নতুনবাজার বছিরবানিয়া তেপতি মোড়ে মাদকদ্রব্য বেচাবিক্রি হচ্ছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে মাদকসেবী তাজুল ইসলামকে হেরোইনসহ আটক করে পুলিশ। আবু মারুফ হোসেন বলেন, পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়নি। এটা প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানেন এবং তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু কতিপয় লোকজন মৃত্যুর ঘটনাকে পুলিশের নির্যাতনের গুজব চালিয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা এবং ভাঙরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত তাজুলের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার ও থানা ঘেরাও করে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় কারও নাম উল্লেখ নেই। কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরায় কোটি টাকা ছিনতাই: দুইদিনেও শনাক্ত হয়নি কেউ

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন: তাজুলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই

আপডেট সময়ঃ ০৭:৪২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে মাদকসেবী তাজুল ইসলামের (৫৫) স্বাভাবিক মৃত্য হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, তাজুলের মৃত্যুর ঘটনায় গত সোমবার রাতেই হারাগাছ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন এবং মঙ্গলবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তাজুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার ফরেনসিক বিভাগ থেকে তাজুলের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক উল্লেখ করেছেন যে, তাজুলের মৃত্যু স্ট্রকজনিত কারণে হয়েছে এবং তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আবু মারুফ হোসেন আরও বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে হারাগাছ থানা পুলিশের একটি দল ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদকবিরোধী অভিযানে বের হয়। এ সময় অভিযানিক দলের কাছে তথ্য আসে যে, হারাগাছ পৌর এলাকার নতুনবাজার বছিরবানিয়া তেপতি মোড়ে মাদকদ্রব্য বেচাবিক্রি হচ্ছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে মাদকসেবী তাজুল ইসলামকে হেরোইনসহ আটক করে পুলিশ। আবু মারুফ হোসেন বলেন, পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়নি। এটা প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানেন এবং তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু কতিপয় লোকজন মৃত্যুর ঘটনাকে পুলিশের নির্যাতনের গুজব চালিয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা এবং ভাঙরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত তাজুলের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার ও থানা ঘেরাও করে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় কারও নাম উল্লেখ নেই। কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।