মোঃ মমিনুর রহমান, রংপুর প্রতিনিধি :
রংপুরের হারাগাছে পুলিশের নির্যাতনে তাজুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে থানায় হামলা, ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ। হারাগাছ থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রাতে এ মামলা করেন। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে। অপরদিকে মাদক রাখার অভিযোগে একই থানার উপ-পরিদর্শক রিযাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে নিহত তাজুল ইসলামকে। বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, সোমবার রাতে হারাগাছ থানা ঘেরাও, ভাংচুরের ঘটনায় সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পুলিশ রাতে কিছু এলাকায় তল্লাশি চালালেও কাউকে গ্রেফতার করেনি। নতুন করে সংঘাত এড়াতে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা এলাকায় স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার রাতের ঘটনায় কী পরিমাণ সরকারি যানবাহন ও থানা পুলিশের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুলিশের পক্ষে তার পরিসংখ্যান আর্থিক বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ওসি শওকত আলী জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে এ দুটি মামলা হারাগাছ থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে বিকালে নিহত তাজুলের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। পরে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য সোমবার সন্ধ্যায় মাদকবিরোধী অভিযানের সময় মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশ পৌর এলাকার দরদী স্কুলসংলগ্ন তেপতি বছি বানিয়াপাড়ায় মাদকসহ তাজুল ইসলামকে আটক করে।সেখানেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়িসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। রাত সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের রাত ১১টা পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে রংপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ৃ