সেনাবাহিনীর বান্দরবান জোন কমান্ডার ৫ইবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান বলেছেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সেনা অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইতিমধ্যে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফের মূল ঘাটিসহ অধিকাংশ আস্তানা সেনাবাহিনী দখলে নিয়েছে। শিঘ্রই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করা যাবে। সেই সাথে কোন সন্ত্রাসী যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে।
শান্তিতে যে সমস্যার সমাধান সম্ভব তার জন্য আমরা সংঘাতে কেন যাব।২৫সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে রোয়াংছড়ি উপজেলা পাহাড় অঞ্চলে খামতাং পাড়াও ক্যাপ্লাং পাড়া এসব পাড়াস্থ বান্দরবান সেনা জোন ৫ইবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসানসহ রোয়াংছড়ি সেনাবাহিনী ৫বেঙ্গল ফোর্স ট্টিম পরিদর্শন করেন!
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলার প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হকসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট সকল সাংবাদিকবৃন্দ!সে সময়ে পাড়ার বাসিন্দা লোকজন বলেন তাদের পাড়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ এক বছর যাবৎ বন্ধ দেওয়া হয়েছে!
পাড়ার শিশুরা বলেন, আজকের অনেক দিন হয়েছে স্কুলে যাইতে পারিনি সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমাদের স্কুলে টিচাররা স্কুলে বন্ধ দিয়েছেন!যদি স্কুল খুললে স্কুলে টিচারদেরকে জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় বলে খবর পাওয়া গেছে!
শুধু তা নয় রোয়াংছড়ি উপজেলা দুর্নিবার পাড়াস্থ পর থেকে প্রতিটি রাস্তাতে ইট,থেকে শুরু করে রাস্তার গুলো কুকি চীন সন্ত্রাসীরা রাস্তার খুলে মাঝখানে গর্তে করা হয়েছে এসব এর মধ্যে আই,ইডি ও রাখানো হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনরা স্বীকারোক্তি হয়েছে !
এদিকে খামতাং পাড়া একজন স্কুল টিচার বলেন আমি এই পাড়া স্কুলে টিচার আমাদের পাড়া পরিবার সংখ্যা ৮৪পরিবার ছিলো সন্ত্রাসীরা জালাই তাদের ভয়ে স্কুলও চালায়তে পারিনিও পাড়ার লোকজনও শহরের বাসায় ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে!
এখন আমরা নিরীহ অসহায় মানুষ আমাদের ছেলে মেয়েদর শিক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি খুলে দিলে আমরা উপকার হবে আগে যেভাবে আমরা ভয়ভীতিতে মধ্যে আছি এখন আর কোন ভয় নেই কারণ সেনাবহিনী আমাদের নিরাপত্তার প্রহর দিছে! সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বান্দরবান জোন কমান্ডার অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান ।
এ সময় তাঁর সঙ্গে রোয়াংছড়ি উপজেলা ৫বেঙ্গল সেনাবাহিনীর ফোর্স ট্টিমসহ আরোও ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারাও স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দগণ উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সেনা জোন ৫ইবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান বলেন, সেনাবাহিনী খুবই মানবিক। এ কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।
কোনভাবে সেনাবাহিনী কোন জায়গায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। আমরা মাঠ পর্যায়ে অভিযানের সফলতা দেখতে এসেছি। আমি খুবই আশাবাদী অনেক সফলতা অর্জন হয়েছে। পাহাড়ে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসন বিজিবি পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী রয়েছে।
সবাই যার-যার অবস্থানে থেকে সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে ভূমিকা রাখছে। পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সীমান্ত সড়ক ভালো ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পার্বত্যঅঞ্চল বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। এ লক্ষ্য সেনাবাহিনী সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে সেনা প্রধান বান্দরবান সেনানিবাসে সৈনিক ও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।আরোও জানা যায় যে,রোয়াংছড়ি হতে রুমার রাস্তার নির্মান কাজ করার জন্য কাজ শুরু করলে নানান ধরনের ভয়ভীতি দেয় রাস্তার কাজের জন্য নিয়োজিত এস্কেলেটর গাড়ীসহ নানান যন্ত্রপাতি নষ্ট করে দিয়েছে বলে তথ্যটি পাওয়াগেছে!