নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর নিউ ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে ও ভিড় সামলাতে সদরঘাটের লঞ্চগুলোতে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলগামী সবগুলো রুটের লঞ্চে চলছে টিকিট বিক্রি। আগামী সিট খালি থাকা সাপেক্ষ আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে টিকিট বেচাকেনা। দুই একটি লঞ্চে ভাড়া বাড়লেও সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী টিকিট দিচ্ছেন লঞ্চ মালিকেরা। তবে অব্যবস্থাপনার কারণে টিকিট পেতে বেগ পেতে হচ্ছে যাত্রীদের। আজ বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, টিকিট বিক্রি শুরু হলেও সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে প্রত্যাশানুযায়ী যাত্রীদের দেখা মিলছে না। কিছুকিছু লঞ্চে অনলাইনে টিকিট বিক্রি চলছে। পারাবত ১০, মানামী ১, ২, সুরভী, সুন্দর বন ১০ লঞ্চের টিকিট বিক্রির জন্য বসে আছেন লঞ্চের দায়িত্বরত কর্মচারীরা। অন্যদিকে, ঈদ উপলক্ষে কয়েক লঞ্চে ভাড়া বাড়লে বেশিভাগ লঞ্চে ভাড়া স্বাভাবিক রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশালগামীলঞ্চ এমভি সুরভী ৭ সিঙ্গেল কেবিনে ১০০ টাকা ভাড়া বেড়ে ১৫০০ হয়েছে। ডাবল কেবিনে ২০০ টাকা বেড়ে ২৬০০ টাকা হয়েছে। ভিআইপি ১০০০ টাকা বেড়ে ৮০০০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে আগের ভাড়াই এখনো বহাল আছে পারাবত ১২ লঞ্চে। সিঙ্গেল কেবিন ১৪০০ টাকা। ডাবল ২৮০০ টাকা, ভিআইপি ৮ থেকে ১০ হাজার, ডেক ৩৫০ টাকা। পারাবত ১০ লঞ্চের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের লঞ্চে দুই তিনদিন আগে থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে অর্ধেক টিকিট বিক্রি শেষ। বুধবার থেকে টিকিটপ্রত্যাশীদের চাপ থাকার কথা থাকলেও নেই। সুন্দরবন ১০ লঞ্চের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির বলেন, গত দুই ঈদে করোনা কারণে লঞ্চ প্রায় বন্ধ ছিল। তবে এইবার যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। বিশেষ করে ২৭ থেকে ৩০ তারিখের টিকিটের চাহিদা বেশি। এ তিন দিনের টিকিট বেশি চান যাত্রীরা। এ তিনদিনের টিকিট নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এম ভি সুরভী-৭ লঞ্চে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র, সেখানের টিকিট কাউন্টারের দ্বায়িত্বে থাকা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু করছি। কিন্তু অফলাইনে টিকিট পেতে হলে বরিশাল অফিস থেকে কাটতে হবে। অনলাইনে যারা টিকিট নিচ্ছেন, তারা ওই কপি ডাউনলোড করে আনলে টিকিট দেবো। রাজধানীর সাভার থেকে টিকিট নিতে আসা আজমল জানান, আইডি কার্ডের ভোগান্তিতে পড়ছি। কেবিনের টিকিট পেতে যে আইডি কার্ড লাগবে এটা জানা ছিল না। তাই টিকিট না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি। আইডি কার্ড নিয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন টিকিট নিতে আসা দুই যুবক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই যুবক বলেন, আইডি কার্ড নেই তাই টিকিট পাচ্ছি না। তবে লঞ্চস্টাফদের পরিচিত অনেকেই আইডি কার্ড ছাড়া টিকিট পেয়েছেন। এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি জানান, এ বছর যাত্রীদের নিরাপত্তা ও কালোবাজারি রোধে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে লঞ্চে কেবিনের টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নদীবন্দর থেকে আমাদের এ নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত দুই বছর ঈদে আমাদের খারাপ অবস্থা গেছে। এবার যাত্রীদের চাপ বাড়বে। সেই অনুযায়ী আমাদের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। ডক থেকে রঙ লাগিয়ে সংস্কার করে ঘাটে ফেরানো হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার সার্থে যা যা দরকার সেই প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে।
সর্বশেষঃ
লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, চাহিদা বেশি ২৭-৩০ তারিখের
-
দৈনিক আইন বার্তা
- আপডেট সময়ঃ ০৮:৪২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
- ৩১৭ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ