• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী তীব্র শিক্ষক সঙ্কট নিয়েই চলছে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ ৮ দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির আদেশ বহাল দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোয়াংছড়ি উপজেলার কুকি চীন সন্ত্রাসী বাহিনীরা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির গ্রস্তে সেনা পরিদর্শন করেন ১৬ আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলো পণ্যবাহী নতুন লাগেজ ভ্যান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

লঞ্চে আগুন: মালিক-মাস্টার-সুকানি-চালককে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন

Reporter Name / ২৪৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লেগে হতাহতের ঘটনায় গঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। গত সোমবার রাতে নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর কাছে কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. তোফায়েল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রতিবেদনে এই দুর্ঘটনার জন্য কাদেরকে দায়ী করা হয়েছে- জানতে চাইলে তোফায়েল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিবেদনটি গত রাতে জমা দিয়েছি। তাই এটির বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। এটি অফিসিয়ালি প্রকাশ হওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমে যে সব বিষয় এসেছে, বলতে গেলে সেগুলোই প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন থেকেই লঞ্চে আগুন লেগেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে লঞ্চের চারজন মালিক, দুজন ইনচার্জ মাস্টার, সুকানি, দুজন ইঞ্জিন চালক ও লঞ্চের গ্রিজারকে (চালকের সহকারী) সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। একই সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ থাকার পরও লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সদরঘাটের সার্ভেয়ার ও ইন্সপেক্টর এবং লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণসহ বিভিন্ন বিধিবিধান লঙ্ঘনের জন্য ইঞ্জিন পরিবর্তন করা ডকইয়ার্ডের মালিককে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাউকে দায়ী করেনি কমিটি। প্রতিবেদনে টিকিট কেটে যাত্রী তোলা, লঞ্চের রোটেশন প্রথা বাতিলসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকা-ে নিহতের সংখ্যা ৪৮ জন। এই দুর্ঘটনা তদন্তে ২৪ ডিসেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ) তোফায়েল ইসলামকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিবেদন দাখিলে কমিটিকে তিন কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে সময় আরও তিন কর্মদিবস বাড়ানো হয়। তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন- বরিশাল অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন, ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আলম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার তাইফুর রহমান ভূইয়া, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূইয়া ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থার পরিচালক মামুন-অর-রশিদ। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category