• শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
সংসদ নির্বাচনে কোনো হুমকি দেখছি না: আইজিপি ধানের দাম কম, উৎপাদন খরচ ফেরত পাচ্ছে না চাষীরা, ক্ষতির মুখে কৃষক ১৭০টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে দেবে না আওয়ামী লীগ বান্দরবানে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন শান্তিরক্ষার দায়িত্বে সরকার সচেতন থাকবে: আইনমন্ত্রী পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী হরতাল-অবরোধের প্রভাব পণ্য পরিবহনে, বাড়তি ব্যয়ের বোঝা ভোক্তাদের কাঁধে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত করা হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী বিশ্বকাপ ব্যর্থতা, অনুসন্ধানে বিসিবির কমিটি পোর্তোকে হারিয়ে নক আউট পর্বে বার্সেলোনা

শিক্ষক লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

Reporter Name / ১৩০ Time View
Update : বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষক লাঞ্ছনা ও অপদস্থ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন ও হামলা আমরা মেনে নেবো না। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি মহল উস্কানি দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ জাতীয় ঘটনা ঘটাচ্ছে। অনেকে দেখেও কোনো প্রতিবাদ করছে না। এটি শুধু সরকার অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার দায়িত্ব নয়। তিনি বলেন, এসব ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো সবার সামাজিক দায়িত্ব। শুধু ঘটনা ঘটলো আর প্রশাসনিকভাবে আমরা ব্যবস্থা নিলাম তাতে এটি বন্ধ হবে না। বরং এটি প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সেজন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মন্ত্রী বলেন, শিক্ষক জাতি গড়ার কারিগর। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের লাঞ্চনা, নির্যাতনসহ যেসব ঘটনার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেটি খুবই দুঃখজনক। এসব ঘটনা দেখে শিক্ষকরা এক ধরনের শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। আমরা তাদের পাশে আছি। সামাজিক আন্দোলন মাধ্যমে এসব অন্যায় বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে তাদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ড, মাঠ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যেমে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারো তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে তাদের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। আর যদি সব যোগ্যতা থাকার পরও কোনো প্রতিষ্ঠান বাদ যায় তবে তালিকা প্রকাশের পরে ১৫ দিনের মধ্যে সাধারণ স্কুল-কলেজের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করতে হবে। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তা শুনানি করে সমাধান করা হবে। এদিকে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে নতুন করে দুই হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিলেও এই ধাপে দেশের মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের ৩২ উপজেলার একটি প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির অনুমোদন পায়নি। তিনি জানান, এ ধাপে দেশের মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের ৩২ উপজেলার একটি প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির অনুমোদন পায়নি। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনভুক্ত ২২টি থানার একটি প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ডা. দীপু মনি আরও জানান, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের ক্ষেত্রে ১৮টি, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ২১৩টি এবং মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১৫২টি উপজেলা থেকে এমপিওভুক্তির জন্য কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। এদিকে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ২২৩টি ও মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে ২০০টি উপজেলা থেকে একটি প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আবেদন করেছে কিন্তু এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা উপজেলাগুলোর অন্তত একটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বাছাই করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি শিক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষার যে কোনো একটিকে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় স্বীকৃতি/স্বীকৃতির সুপারিশ রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করা হয়েছে। আঞ্চলিক অসামঞ্জস্য দূরীকরণের জন্য মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের ২৯টি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করা হয়েছে। শিক্ষায় পশ্চাৎপদতা, অনগ্রসরতা বিবেচনায় নিয়ে এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা মোট ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বাছাই করা হয়েছে। প্রতিটির জন্য শিথিল করা শর্ত এবং বাছাইয়ের যৌক্তিকতা উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে সারাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। তারা পাঠ্যবই হাতে পাওয়ার দুই সপ্তাহ পরে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। দীপু মনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা হওয়ায় আমরা এসএসসি-সমমান পরীক্ষা স্থগিত করেছি। বর্তমানে অনেক এলাকায় পানি নেমে গেছে, অনেক জায়গায় এখনো পানি রয়েছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পানি নেমে গেছে সেগুলোতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপন করা হচ্ছে। দীপু মনি বলেন, বন্যায় অনেক শিক্ষার্থী তাদের বই হারিয়ে ফেলেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে। কতজন শিক্ষার্থীর বই নষ্ট হয়ে গেছে সেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা পাওয়ার পর পাঠ্যবইয়ের বাড়তি মজুত থেকে তাদের বই দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাড়তি বই বিতরণের পরও যদি বইয়ের সংকট দেখা দেয় তাহলে নতুন বই ছাপানো হবে। তবে বন্যা পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। ফলে, কবে থেকে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে তা বলা যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকে প্রশ্ন তুলছেন যে নতুন কারিকুলামে ধর্মশিক্ষা তুলে দেওয়া হয়েছে। যারা এমনটি বলছেন, তারা না বুঝেই বির্তক করছেন। নতুন কারিকুলামে ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়া হয়নি, কখনো বাদ দেওয়া হবেও না। বরং এ কারিকুলামে ধর্মশিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলাম পড়ে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ধর্মের মর্মবাণী অনুধাবন করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা ব্যক্তি জীবনে যাতে ধর্ম চর্চা করতে শেখে সেভাবেই এ কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে মানুষকে উস্কে দিতে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। কোনো বিষয়ে অভিযোগ তোলার আগে সেটি ভালো করে দেখা দরকার। দেশে করনো সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ১২ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানে জোর দেওয়া হচ্ছে। তাদের টিকার আওতায় আনতে না পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চিন্তা করা হবে। গতকাল বুধবার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণায় আয়োজিত সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে আবারও করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় আমরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। তবে আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে না। এরইমধ্যে আমাদের ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হয়েছে। ১২ বছরের নিচে যেসব শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরও টিকা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তাদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না। যদি সেটি সম্ভব না হয় তাহলে ভিন্ন চিন্তা করা হবে। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category