• বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
চট্টগ্রামে চলমান-প্রস্তাবিত কার্যক্রম প্রসঙ্গে নানা প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিলেন বাপাউবো বিজিবি-বিএসএফের মহানুভবতায় জিরো পয়েন্টে মা-মেয়ের শেষবিদায় বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন, বিশ্বমিডিয়ায় তোলপাড় ‘মব’ সংস্কৃতির কারণে জাতীয় সম্ভাবনা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে: মাহফুজ আলম অপারেশন ডেভিল হান্টে আশানুরূপ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনা আইয়ামে জাহেলিয়াতের নমুনা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন: ড. ইউনূস ডিসেম্বরকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় নির্বাচনেরই প্রস্ততি নিচ্ছে ইসি দদুর্নীতির বড় অভিযুক্তরা পাশের দেশে আছেন: দুদক চেয়ারম্যান এবারও আসছে তীব্র তাপপ্রবাহ, নেই তেমন প্রস্তুতি লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার

শীতজনিত রোগীর চাপ রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি হাসপাতালে বাড়ছে

Reporter Name / ১৯ Time View
Update : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শীতজনিত রোগীর চাপ রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি হাসপাতালে বাড়ছে। আর বয়স্ক শিশুরাই শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের হাসপাতালগুলোতে এখন প্রতিদিন সেবা নিতে আসা জ্বর, ঠান্ডা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। শীতের শুরু থেকে জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়া ও শীতকালীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে। বর্তমানে সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস, ব্রঙ্কিওলাইটিস, সাইনোসাইটিস, অ্যাজমা, চর্মরোগ, হাঁপানি, শ^াসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক সব বয়সের মানুষ। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বেড়েই চলেছে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে নিউমোনিয়াসহ শীতকালীন রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ। ৬৮১ শয্যার হাসপাতালটিতে নিউমোনিয়া রোগীদের জন্য বরাদ্দ সিটের সংখ্যা মাত্র ১৯টি। আর শীতজনিত নানা রোগের জন্য দুই ওয়ার্ডে মোট শয্যা ৪০টি। হাসপাতালটিতে এখন গড়ে হাজারের ওপরে রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। সক্ষমতার অধিক শিশুকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। একইভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন যতো রোগী আসছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ শীতজনিত নানা রোগে ভুগছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ বয়স্ক ও শিশু। এর বাইরেও বিভিন্ন হাসপাতালে আসা সর্দিজ্বরে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী গত ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ব্রঙ্কাইটিস, ব্রঙ্কিওলাইটিস ও নিউমোনিয়ায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৪৩৭ জন। আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। সারা দেশে ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে একজনের, আক্রান্ত হয়েছে ৭৩ হাজারেরও বেশি। মূলত শীতে সর্দি, কাশি, ব্রঙ্কিওলাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যায়। চর্মরোগ ও ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যায়। পরিত্রাণের জন্য শিশুদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখা জরুরি। গরম কাপড় পরিধান করানো প্রয়োজন। তাছাড়া বিশুদ্ধ পানি পান, নাক দিয়ে পানি এলে নরমাল স্যালাইন দিয়ে নাক পরিষ্কার করা ভালো। আর ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়াই ভালো। আর শ^াসকষ্ট হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াতে হবে। তাছাড়া শীতের সময় ধুলাবালু ও বাতাসের শুষ্কতা কমে যায়। যে কারণে শিশুদের চর্মরোগের পাশাপাশি চুলকানি বেশি হয়। বাচ্চাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও ধুলাবালু থেকে দূরে রাখতে হবে। এদিকে প্রসঙ্গে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ জানান, ঋতু পরিবর্তন স্বাভাবিক ঘটনা। শীত মৌসুমে নানা ধরনের রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময়ে সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ফ্লোর অধিক সংক্রমণ ঘটে। সব বয়সীরা আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে বেশি ভোগেন শিশু ও বয়স্করা। শীতকালে বয়স্ক লোকদের অ্যাজমা, গলাব্যাথা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, টনসিল ও গিরায় গিরায় ব্যথা হয়। তাদের দেখাশোনা করা ব্যক্তিদের অধিক সতর্ক হতে হবে। বয়স্ক ও শিশুদের শীতে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। শিশুদের শীতের পোশাক পরিধান করাতে হবে। সামান্য অবহেলার কারণে শিশুদের মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। শীতজনিত রোগে বেশি শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে থাকলে শিশুবিষয়ক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category