০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫ | ই-পেপার

শুল্ক ছাড়েও বাজারে বাড়ছে চিনির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুল্ক ছাড়েও বাজারে বাড়ছে চিনির দাম। পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহে উল্টো দাম বেড়েছে প্রতি মণে ২০ থেকে ৫০ টাকা। অজুহাত দেখানো হচ্ছে- শুল্ক কমানোর আগে যে চিনি আমদানি করা হয়েছে, সেগুলোর বিক্রি এখনো শেষ হয়নি। আর শুল্ক ছাড়ের পর এলসি খুলে আমদানি চিনি বাজারে আসতে দু’মাস লাগতে পারে। সরকার গত সেপ্টেম্বরে চিনির দর বেঁধে দেয়। আর গত ৬ মাসে মোট চারবার দাম বাড়ানোর পরও চিনির বাজারে অস্থিরতা কাটেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনিতে ৬ হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত আমদানিকারকরা শুল্ক ছাড়ের ওই সুবিধা পাবে। আমদানিকারক ও বাজারজাতকারীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, শুল্ক ছাড়ের সুবিধার আওতায় চিনি আমদানি হলে দাম কমতে পারে কেজিতে ৫ থেকে সাড়ে ৫ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে বাজারে চিনির দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১১২ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লাল চিনি (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চিনির দাম প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম বেশি। পাইকারিতে না কমলে খুচরা বাজারে দাম কমার কোনো সুযোগ নেই। এদিকে চিনির দাম না কমার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ীরা দায়ী আমদানিকারক বা মিলারদের করছে। বাংলাদেশ পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাশেমের মতে, সরকার শুল্ক কমালেও মিলগেটে দাম কমেনি। আর মিলারদের দাবি, চিনির আমদানির ব্যয় বেড়েছে। সরকার শুল্ক কমানোর কারণে এখন দাম বাড়েনি। নতুবা বাজারে দাম আরেক দফা বাড়তো। কারণ আগে কেনা চিনির দাম বেশি পড়েছিল, তাই শুল্ক কমানোর কারণে হয়তো ব্যয়টা সমন্বয় করা হচ্ছে। তবে শুল্ক ছাড়ের আওতায় চিনি এলে দাম কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে মিলাররা বলছেন, বেশি শুল্কের আওতায় আমদানি করা চিনি কম দামে বিক্রি করার সুযোগ নেই। আগের আমদানি করা চিনি শুল্ক ছাড়ের আগেই খালাস করা হয়েছে। সেগুলোতে বেশি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। কোম্পানিগুলোর গুদামে থাকা ওই চিনি বর্তমান দরেই বিক্রি করতে হচ্ছে। শুল্ক ছাড়ের ঘোষণার পর থেকে যে চিনিগুলো বন্দর থেকে খালাস করা হবে, সেগুলোতে নতুন দাম নির্ধারণ হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম রহমান জানান, দু-তিন মাস আগেই চিনির শুল্ক কমানোর জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু সরকার তখন উদ্যোগ নেয়নি। তখন শুল্ক কমালে ভোক্তারা রমজানে ওই সুফল পেতো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের সব দপ্তর দুই শনিবার খোলা

শুল্ক ছাড়েও বাজারে বাড়ছে চিনির দাম

আপডেট সময়ঃ ১০:১৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুল্ক ছাড়েও বাজারে বাড়ছে চিনির দাম। পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহে উল্টো দাম বেড়েছে প্রতি মণে ২০ থেকে ৫০ টাকা। অজুহাত দেখানো হচ্ছে- শুল্ক কমানোর আগে যে চিনি আমদানি করা হয়েছে, সেগুলোর বিক্রি এখনো শেষ হয়নি। আর শুল্ক ছাড়ের পর এলসি খুলে আমদানি চিনি বাজারে আসতে দু’মাস লাগতে পারে। সরকার গত সেপ্টেম্বরে চিনির দর বেঁধে দেয়। আর গত ৬ মাসে মোট চারবার দাম বাড়ানোর পরও চিনির বাজারে অস্থিরতা কাটেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনিতে ৬ হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত আমদানিকারকরা শুল্ক ছাড়ের ওই সুবিধা পাবে। আমদানিকারক ও বাজারজাতকারীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, শুল্ক ছাড়ের সুবিধার আওতায় চিনি আমদানি হলে দাম কমতে পারে কেজিতে ৫ থেকে সাড়ে ৫ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে বাজারে চিনির দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১১২ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লাল চিনি (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চিনির দাম প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম বেশি। পাইকারিতে না কমলে খুচরা বাজারে দাম কমার কোনো সুযোগ নেই। এদিকে চিনির দাম না কমার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ীরা দায়ী আমদানিকারক বা মিলারদের করছে। বাংলাদেশ পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাশেমের মতে, সরকার শুল্ক কমালেও মিলগেটে দাম কমেনি। আর মিলারদের দাবি, চিনির আমদানির ব্যয় বেড়েছে। সরকার শুল্ক কমানোর কারণে এখন দাম বাড়েনি। নতুবা বাজারে দাম আরেক দফা বাড়তো। কারণ আগে কেনা চিনির দাম বেশি পড়েছিল, তাই শুল্ক কমানোর কারণে হয়তো ব্যয়টা সমন্বয় করা হচ্ছে। তবে শুল্ক ছাড়ের আওতায় চিনি এলে দাম কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে মিলাররা বলছেন, বেশি শুল্কের আওতায় আমদানি করা চিনি কম দামে বিক্রি করার সুযোগ নেই। আগের আমদানি করা চিনি শুল্ক ছাড়ের আগেই খালাস করা হয়েছে। সেগুলোতে বেশি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। কোম্পানিগুলোর গুদামে থাকা ওই চিনি বর্তমান দরেই বিক্রি করতে হচ্ছে। শুল্ক ছাড়ের ঘোষণার পর থেকে যে চিনিগুলো বন্দর থেকে খালাস করা হবে, সেগুলোতে নতুন দাম নির্ধারণ হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম রহমান জানান, দু-তিন মাস আগেই চিনির শুল্ক কমানোর জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু সরকার তখন উদ্যোগ নেয়নি। তখন শুল্ক কমালে ভোক্তারা রমজানে ওই সুফল পেতো।