নিজস্ব প্রতিবেদক :
নুর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটলেও এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন স্কয়ারে ওবাযদুল কাদের এ কথা বলেন। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে ফুল দিয়ে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, নুর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে আমাদের বহু কাক্সিক্ষত গণতন্ত্রের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটলেও গণতন্ত্র এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র বিকাশমান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় ১০ নভেম্বর নুর হোসেনের আত্মত্যাগ আমাদের ইতিহাসের পাতায় গৌরবময় অধ্যায় হয়ে আছে। সময়ের সাহসী কা-ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে সময় নুর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে আমাদের বহু কাক্সিক্ষত গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শৃঙ্খলমুক্ত গণতন্ত্রের ক্রমবিকাশওমান ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে এবং সংগ্রাম চলবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নুর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
এদিকে গতকাল বুধবার বৃহত্তর চট্টগ্রাম জোনের অধীনে ৬টি জেলা সড়কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। যারা উন্নয়ন ও নির্বাচন বিমুখ এবং আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ তারা সরকারের অন্ধ সমালোচনাকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে। অনিয়ম আর দুর্নীতি ছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালে যারা কিছু উপহার দিতে পারেনি অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলে। ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তার সবগুলোর কাজ শেষ হলে বদলে যাবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি। চট্টগ্রামকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনকে ঘিরে দেশের যে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির ধারা তা আরও বেগবান হবে। তিনি বলেন, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। জোরারগঞ্জ হতে কক্সবাজার পর্যন্ত আরেকটি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও চলমান। মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার লিংক রোড-লাবনী পয়েন্টে চার লেনের কাজ শেষ পর্যায়ে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন? আসন্ন পর্যটন মৌসুমের আগেই এ মহাসড়ক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আগামী বছর দেশের চারটি মেগা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আমাদের সাহস ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতুতে আজ কার্পেটিং শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, ইতোমধ্যেই ৭৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সকল জাতীয় মহাসড়কে পর্যায়ক্রমে ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা দুটি লেনসহ চার লেন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। দেশের মহাসড়কের উন্নয়নের পাশাপাশি এখন নজর দেওয়া হয়েছে জেলা সড়ক উন্নয়নে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন প্রয়াস তা দেশবাসীর কল্যাণে নিবেদিত। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহীদের উসকানি না দিতে দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সবার তালিকা তৈরি হচ্ছে, সময়মত কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।