নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিবন্ধীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনে ৩১তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। নুরুজ্জামান আহম্মেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীবান্ধব একজন সরকার প্রধান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান কি করেছে প্রতিবন্ধীদের জন্য? জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া কি করেছেন প্রতিবন্ধীদের জন্য? জেনারেল এরশাদ প্রতিবন্ধীদের জন্য কি করেছেন? দয়া করে নিজেদের অন্তরকে জিজ্ঞাসা করুন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য যে কাজ করছেন তা সারা বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে। প্রতিবন্ধীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করা যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে তার চিন্তা চেতনার কথা শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে হিমালয় শৃঙ্গের অন্যান্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। তবুও তার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আমাদের নতুন আত্মপ্রত্যয়ে উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাই। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খশরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খশরু বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে প্রতিবন্ধী সেবা এবং সাহায্য কেন্দ্র তৈরির প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ২১১টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র চালু হবে। পর্যায়ক্রমে এটা দেশের সব উপজেলায় সম্প্রসারিত হবে। রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রতিবন্ধীরা কারও দয়া চান না, তারা তাদের অধিকার চান। সুতরাং তাদের অধিকার পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে আমাদের। প্রতিবন্ধিরা যেন বৈষম্যের শিকার না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং তাদের বাবা-মাকে ক্রেস্ট এবং ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এবারের প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য অন্তর্ভুক্তমূলক উন্নয়নের জন্য পরিবর্তনমুখী পদক্ষেপ: প্রবেশগম্য ও সমতাভিত্তিক বিশ্ব বিনির্মাণে উদ্ভাবনের ভূমিকা।