নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, এ সরকারের অধীনে জনগণ ও বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। কোনো নির্বাচন করতেও দেওয়া হবে না। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দুপুর ১২টায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক মহসীন সরকারের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, অনেকেই বললেন, যে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, সব দলকেই এ কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু এ নির্বাচন তো দলীয় কমিশন। সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা এ নির্বাচন কমিশনের নেই। এ কমিশন শেখ হাসিনার বাইরে এক পা নড়াচড়া করতে পারে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য এ সরকার প্রথমেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। এরপর সৃষ্টি করেছে অর্থনৈতিক বৈষম্য। আওয়ামী লীগের কিছু ব্যক্তিই শুধু ধনী হচ্ছে। গরিবরা অতি গরিবে পরিণত হয়েছে। মধ্যবিত্তরা নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছে। নিম্ন মধ্যবিত্তরা গরিবে পরিণত হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যানেও সেটা উঠে এসেছে। আগে কতজন কোটিপতি ছিল, এখন কোটিপতি কত জন? তিনি বলেন, আমরা ভারতকে ট্রানজিট দেই। ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রী নিজেই দাবি করেছেন বাংলাদেশ ভারতকে যা দিয়েছে, তারা সেটার প্রতিদান দিতে পারবে না। তারা আমাদের পানি দিচ্ছে না কিন্তু ফেনী নদির পানি আমরা ঠিকই দিচ্ছি। সীমান্তে লাশ ঝুলছে, একটা স্বাধীন দেশে এটা কাম্য নয়। রাষ্ট্রের সব সেক্টর দলীয়করণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে মূলস্তম্ভ থাকে, আওয়ামী লীগ সরকার সব স্তম্ভকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকার কথা ছিল। তিনি বলেন, মানুষ বিচার পাওয়ার জন্য শেষধাপ হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টে যায়, অথচ এখানেও চরম দলীয়করণ করেছে আওয়ামী লীগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা শুধুমাত্র কিছু বক্তব্য দেওয়ার কারণে তাকে দেশ থেকে অপমানিত করে বের করে দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের যদি এ অবস্থা হয়, নিম্ন আদালতের তাহলে কী অবস্থা হতে পারে।