০২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম-দ্বিতীয়-চতুর্থ-পঞ্চম রাবি থেকে

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
  • ৩৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ১৪তম সহকারী জজ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে চমক দেখিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিজেএস পরীক্ষায় ১ম হয়েছেন রাবির শিক্ষার্থী। এছাড়াও ২য়, ৪র্থ, ও ৫ম হয়েছেন রাবির শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১০২ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন, রাবির আইন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া নাসরিন শামা। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও চতুর্থ হয়েছে একই ব্যাচের যথাক্রমে জান্নাতুন নাঈম মিতু ও ইশরাত জাহান আশা। তিন জনই বর্তমানে রাবির আইন বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। এ ছাড়া ৫ম হয়েছেন ৩৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিয়া খাতুন। প্রথম হওয়া সুমাইয়া শামার গ্রামের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামে। তিনি ২০১৩ সালে বড়াইগ্রাম হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং রাজশাহী কলেজ থেকে ২০১৫ সালে উচ্চমাধ্যমিকপাস করেন। পরে ২০১৫-১৬ সেশনে রাবির আইন বিভাগে ভর্তি হন। তার অ্যাকাডেমিক ফলাফলও ভালো। অনার্সের মেধা তালিকায় দ্বিতীয়। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছেন। মেধায় দ্বিতীয় হওয়া জান্নাতুন নাইম মিতুর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়ন-শুকা এলাকায়। নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে মাধ্যমিক (এসএসসি) ও রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক(এইচএসসি) পাস করেন। জানতে চাইলে সুমাইয়া শামা বলেন, আমার এই ফলাফলের জন্য পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। সত্যি বললে আমি প্রথম হবো এমনটা প্রত্যাশা ছিল না। আমার টার্গেট ছিল মেধাতালিকায় নাম এলেই হবে। মেধাতালিকায় ২য় হওয়া জান্নাতুন নাঈম মিতু বলেন, আমার মা -বাবা, বিভাগের শিক্ষকরা আমাকে অনেক বেশি হেল্প করেছেন। যখন যা লাগে সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যার জন্য আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। সেইসঙ্গে আমার কয়েকজন বন্ধু রয়েছে তারাও আমাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছে। আমি সবার কাছেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, আজকের দিনটি আমাদের আইন বিভাগের জন্য বিশেষ এক আনন্দ ও গর্বের দিন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অদম্য এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা আবারও প্রমাণ করলো আমাদের ঐতিহ্যবাহী আইন বিভাগই সেরা। আমাদের বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচ থেকে আরও অনেকেই সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে। সবাইকে অভিনন্দন জানাই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির মামলায় রাজউকের সাবেক কর্মচারীর ৭ বছরের কারাদ-

সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম-দ্বিতীয়-চতুর্থ-পঞ্চম রাবি থেকে

আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ১৪তম সহকারী জজ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে চমক দেখিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিজেএস পরীক্ষায় ১ম হয়েছেন রাবির শিক্ষার্থী। এছাড়াও ২য়, ৪র্থ, ও ৫ম হয়েছেন রাবির শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১০২ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন, রাবির আইন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া নাসরিন শামা। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও চতুর্থ হয়েছে একই ব্যাচের যথাক্রমে জান্নাতুন নাঈম মিতু ও ইশরাত জাহান আশা। তিন জনই বর্তমানে রাবির আইন বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। এ ছাড়া ৫ম হয়েছেন ৩৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিয়া খাতুন। প্রথম হওয়া সুমাইয়া শামার গ্রামের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামে। তিনি ২০১৩ সালে বড়াইগ্রাম হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং রাজশাহী কলেজ থেকে ২০১৫ সালে উচ্চমাধ্যমিকপাস করেন। পরে ২০১৫-১৬ সেশনে রাবির আইন বিভাগে ভর্তি হন। তার অ্যাকাডেমিক ফলাফলও ভালো। অনার্সের মেধা তালিকায় দ্বিতীয়। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছেন। মেধায় দ্বিতীয় হওয়া জান্নাতুন নাইম মিতুর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়ন-শুকা এলাকায়। নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে মাধ্যমিক (এসএসসি) ও রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক(এইচএসসি) পাস করেন। জানতে চাইলে সুমাইয়া শামা বলেন, আমার এই ফলাফলের জন্য পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। সত্যি বললে আমি প্রথম হবো এমনটা প্রত্যাশা ছিল না। আমার টার্গেট ছিল মেধাতালিকায় নাম এলেই হবে। মেধাতালিকায় ২য় হওয়া জান্নাতুন নাঈম মিতু বলেন, আমার মা -বাবা, বিভাগের শিক্ষকরা আমাকে অনেক বেশি হেল্প করেছেন। যখন যা লাগে সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যার জন্য আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। সেইসঙ্গে আমার কয়েকজন বন্ধু রয়েছে তারাও আমাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছে। আমি সবার কাছেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, আজকের দিনটি আমাদের আইন বিভাগের জন্য বিশেষ এক আনন্দ ও গর্বের দিন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অদম্য এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা আবারও প্রমাণ করলো আমাদের ঐতিহ্যবাহী আইন বিভাগই সেরা। আমাদের বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচ থেকে আরও অনেকেই সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে। সবাইকে অভিনন্দন জানাই।