নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব চাওয়ার বিষয়টি জানতেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব চাওয়ার চিঠি অপ্রত্যাশিত।’ গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। সাংবাদিক নেতাদের বক্তব্য শুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। ঘটনাগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছে। আসলে আমারও জানা ছিল না। তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ও বোধ হয় জানতেন না কিছু।’ আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এ ঘটনা কীভাবে ঘটলো সে বিষয়ে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও আপনাদের মতো একটি চিঠির কথা বলেছেন। সেই চিঠির উৎপত্তিটা কোথায় সেটি আমি দেখেছি। আমার মনে হয় একটা ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে চিঠিটা গিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এভাবে দেওয়া উচিত হয়নি। এটা নিয়ে আমরা একটু দেখে নেই। কোথা থেকে কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।’ ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) চিঠিকে অপ্রত্যাশিত বলে মত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আপনাদের সুনাম ক্ষুণœ হয়েছে, আপনারা কষ্ট পেয়েছেন, ব্যথা পেয়েছেন। আমরা সেই জায়গায়টায় কিছু না করতে পারলেও ভবিষ্যতে যাতে এ রকম না ঘটে সেটি লক্ষ্য রাখবো। আমি সবার সঙ্গে আলাপ করছি। এনএসআই, সিআইডি, এসবি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্যের সঙ্গে আলাপ করছি। তাদের নিয়ে বসবো। যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেগুলো দেখবো।’
এ সময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, ব্যক্তির নামে সবার হিসাব চাওয়া যেতে পারে। সরকার প্রত্যেকেরই হিসাব চাইতে পারে। কিন্তু সাংবাদিক সংগঠনের নেতা পরিচয়ে চাওয়া হয়েছে। সরকারের নীতি নির্ধারকদের না জানিয়ে কেন সংগঠনের পরিচয়ে চাওয়া হলো। কোন সংস্থা চেয়েছে তাও জানানো হয়নি। যখন চাওয়াই হয়েছে তখন কী পাওয়া গেলো সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। এ সময় সংবাদিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, কুদ্দুস আফ্রাদ, সাজ্জাদ হোসেন তপু, ওমর ফারুক প্রমুখ।