০৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ | ই-পেপার

সারা দেশের আদালতে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৪০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সারা দেশের সব অধস্তন আদালত, ট্রাইব্যুনালের এজলাস, বিভাগ, ফটক ও আশাপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সার্বিক নিরাপত্তা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে এর আগে একাধিকবার দেশের প্রতিটি আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অধস্তন দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমাগুলোর নথিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের মূল দলিল/ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা এসব দলিলাদি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি/নষ্ট হলে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে কিছু নির্দেশনা দেন। সেগুলো হলো-
ক. আদালত ও বিচারকদের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সুসংহত করা।
খ. আদালত ও ট্রাইব্যুনালের এজলাস, বিভাগ, প্রতিটি ফটক ও আদালতের বাইরে সিসিটিভি স্থাপন করা।
গ. আদালত ভবনের বাইরে ও ভেতরে নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়া।
ঘ. আদালত ভবনের দরজা ও জানালাগুলি গণপূর্ত বিভাগ থেকে পরীক্ষা করে গ্রিল আরও মজবুত করা এবং ভঙ্গুর দরজা ও জানালা নতুন করে স্থাপন করা।
ঙ. আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা।
চ. মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
ছ. আদালতে ব্যবহারের নিমিত্ত মানসম্মত ফার্নিচার/লকার নিশ্চিত করা।
জ. আদালত সীমানার চারিদিকে সিকিউরিটি পোস্ট স্থাপন করা।
ঝ. জরুরি ভিত্তিতে সারা দেশের আদালত এলাকায় রাতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা।
ঞ. অবকাশকালীন সময়ে আদালত ভবনের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ট. প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কর্মকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা।
প্রতিটি নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করে দেশের প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা

সারা দেশের আদালতে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

আপডেট সময়ঃ ০৮:৪০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সারা দেশের সব অধস্তন আদালত, ট্রাইব্যুনালের এজলাস, বিভাগ, ফটক ও আশাপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সার্বিক নিরাপত্তা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে এর আগে একাধিকবার দেশের প্রতিটি আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অধস্তন দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমাগুলোর নথিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের মূল দলিল/ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা এসব দলিলাদি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি/নষ্ট হলে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে কিছু নির্দেশনা দেন। সেগুলো হলো-
ক. আদালত ও বিচারকদের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সুসংহত করা।
খ. আদালত ও ট্রাইব্যুনালের এজলাস, বিভাগ, প্রতিটি ফটক ও আদালতের বাইরে সিসিটিভি স্থাপন করা।
গ. আদালত ভবনের বাইরে ও ভেতরে নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়া।
ঘ. আদালত ভবনের দরজা ও জানালাগুলি গণপূর্ত বিভাগ থেকে পরীক্ষা করে গ্রিল আরও মজবুত করা এবং ভঙ্গুর দরজা ও জানালা নতুন করে স্থাপন করা।
ঙ. আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা।
চ. মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
ছ. আদালতে ব্যবহারের নিমিত্ত মানসম্মত ফার্নিচার/লকার নিশ্চিত করা।
জ. আদালত সীমানার চারিদিকে সিকিউরিটি পোস্ট স্থাপন করা।
ঝ. জরুরি ভিত্তিতে সারা দেশের আদালত এলাকায় রাতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা।
ঞ. অবকাশকালীন সময়ে আদালত ভবনের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ট. প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কর্মকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা।
প্রতিটি নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করে দেশের প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।