• বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী তীব্র শিক্ষক সঙ্কট নিয়েই চলছে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ ৮ দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির আদেশ বহাল দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোয়াংছড়ি উপজেলার কুকি চীন সন্ত্রাসী বাহিনীরা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির গ্রস্তে সেনা পরিদর্শন করেন ১৬ আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলো পণ্যবাহী নতুন লাগেজ ভ্যান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

সেই দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২০ ফেব্রুয়ারি

Reporter Name / ১৯৯ Time View
Update : সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামের একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের সভাপতি মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ৩ আগস্ট চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ১০ দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, একটি ছোট দর্জির দোকানে চাকরি করতেন মনির। হঠাৎ করে নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বন্ধু হন। একেক সময় একেক রাজনৈতিক পদবি, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসিয়ে নিজেকে ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দাবি করেন। তিনি ও তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরী এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে কামরাঙ্গীরচর থানার মাদবর বাজার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনির তার সংগঠনের পদ প্রদান ও বড় বড় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করিয়ে দেওয়ার নাম করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ছবি এডিট করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবি প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে আসছেন। এভাবে নিজেকে বড় মাপের নেতা হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করতেন। মনির ফেসবুকে নিজেকে ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার করে এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সৃষ্টি করেন। ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category