নিজস্ব প্রতিবেদক :
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। তবে প্রথমদিন পরীক্ষামূলকভাবে শুধুমাত্র একটি (কেয়ারি ক্রুস অ্যান্ড ডাইন) জাহাজ চলাচল করবে। প্রশাসনের ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে ১৮ নভেম্বর থেকে সবগুলো জাহাজ চলাচল করবে। কেয়ারি ক্রুস অ্যান্ড ডাইন সার্ভিসেস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় কেয়ারি ক্রুস অ্যান্ড ডাইন জাহাজটি টেকনাফ দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন সেন্টমার্টিন যাবে। জাহাজের ধারণক্ষমতা ৩১০ জনের হলেও এরইমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি আসন বুকিং হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, এই জাহাজটি ছাড়াও আরও কয়েকটি জাহাজ প্রসাশনের ছাড়পত্র পেয়েছে। তবে এগুলো ১৮ নভেম্বর থেকে ছাড়বে। পর্যটন ব্যবসায়ী নেতা তোফায়েল আহমেদ জানান, পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও সেন্টমার্টিন দ্বীপের একমাত্র জেটিটির বেহাল অবস্থার কারণে এই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করা যায়নি। প্রশাসনের তদারকিতে জেটির সংস্কার কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তাই মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ মৌসুমের প্রথম জাহাজ যাত্রা শুরু করবে। এদিন পর্যটকরা নিরাপদ যাতায়াত করতে সক্ষম হলে বাকি জাহাজগুলোও পর্যটক সেবায় চলাচল করবে। তিনি আরও বলেন, এ বছর সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলের অনুমতির জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে আবেদন করেছে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ডাইন, পারিজাত, ফারহান, রাজহংস ও সুকান্ত বাবু নামে ৬ জাহাজ। যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সমস্ত ডকুমেন্টস জেলা প্রশাসনে আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন প্রথম জাহাজ ভালোভাবে ফিরে এলে বাকিরা হয়তো চলাচলের অনুমতি পেতে পারে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সেন্টমার্টিনের একমাত্র জেটিটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্প্রতি জেটিটি সংস্কার করা হয়েছে। ১ নভেম্বর এটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা সেন্টমার্টিন পরিদর্শনে যাই। নতুন জেটি, তাই সংস্কারের পর পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গলবার থেকে একটি জাহাজ চালু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অবস্থা বুঝে আবেদনকৃত জাহাজকে অনুমতি দেওয়া হবে। সাগর উত্তাল থাকার পাশাপাশি কালবৈশাখীর আশঙ্কায় দুর্ঘটনা এড়াতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও সেন্টমার্টিন-কক্সবাজারÑদুটি নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় জেলা প্রশাসন। ওই সময় এ দুটি নৌপথে ১০টি জাহাজ চলাচল করেছিল। এর মধ্যে ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে পর্যটক ওঠা-নামার জেটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল জেটির মেরামত কাজ পরিদর্শন করেন। তদারকের পাশাপাশি লোহার পাটাতন বসানোর কাজ চলার কারণে এত দিন ধরে পর্যটকবাহী জাহাজগুলোকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।