০২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ | ই-পেপার

সোনারগাঁওয়ে ব্যবসায়ী মনির হত্যা: চার জনের মৃত্যুদন্ড কমে যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ব্যবসায়ী মনির হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত চার জনের দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন- আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদ। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তদের সাজা বহাল রেখেছেন আদালত। তারা হলো- গোলজার হোসেন ও শাহীন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম. মাসুদ রানা, মাহবুবুর রহমান, উম্মে সালমা, ফরিদ উদ্দিন, মো. আবদুস সালাম, আহসানুল কাইয়ুম ও মিজানুর রশিদ। সবজি ব্যবসায়ী মনির হোসেন সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুসারচর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে ২০০৭ সালের ১৮ জুন রাতে আসামিরা তাকে একটি মাঠে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পরে পাশের ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারকাজ শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার চার আসামির মৃত্যুদ- এবং দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা ছিলেন- আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদ। আর যাবজ্জীবন দ- পান- গোলজার হোসেন ও শাহীন। পরে আসামিদের মৃত্যুদ-াদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল আবেদন করেন। সেসব আবেদনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা

সোনারগাঁওয়ে ব্যবসায়ী মনির হত্যা: চার জনের মৃত্যুদন্ড কমে যাবজ্জীবন

আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ব্যবসায়ী মনির হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত চার জনের দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন- আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদ। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তদের সাজা বহাল রেখেছেন আদালত। তারা হলো- গোলজার হোসেন ও শাহীন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম. মাসুদ রানা, মাহবুবুর রহমান, উম্মে সালমা, ফরিদ উদ্দিন, মো. আবদুস সালাম, আহসানুল কাইয়ুম ও মিজানুর রশিদ। সবজি ব্যবসায়ী মনির হোসেন সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুসারচর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে ২০০৭ সালের ১৮ জুন রাতে আসামিরা তাকে একটি মাঠে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পরে পাশের ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারকাজ শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার চার আসামির মৃত্যুদ- এবং দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা ছিলেন- আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদ। আর যাবজ্জীবন দ- পান- গোলজার হোসেন ও শাহীন। পরে আসামিদের মৃত্যুদ-াদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল আবেদন করেন। সেসব আবেদনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।