০৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

স্থানান্তর প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় পুরান ঢাকায় এখনো কেমিক্যাল কারখানা: মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতায় পুরান ঢাকায় বেআইনিভাবে এখনো কেমিক্যাল কারখানা চালু রয়েছে। সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার ডএসসিসি মেয়র নগরীর ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদবাগ ভূগর্ভস্থ পয়ঃনালী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন। ব্যারিস্টার তাপস বলেন, পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম সরাতে সিটি করপোরেশন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০১৭ সালের পর থেকে আর কোন ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি না। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে যে, স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সেখানে (পুরান ঢাকায়) বেআইনিভাবে এখনো কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম চালু রয়েছে। পুরান ঢাকায় ঘটে যাওয়া অগ্নিকান্ডের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা অত্যন্ত অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। বিষয়টি আমি অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নজরে আনছি। এই নিয়ে আমি শিল্প মন্ত্রীর সাথে, বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে সভা করেছি। এগুলো দ্রুত যেন স্থানান্তরের ব্যবস্থা করে। মেয়র বলেন, আমরা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রত্যেক বছরই প্রাণহানি হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটছে। সুতরাং অনুরোধ করবো এ ব্যাপারে তারা যেন দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। স্থানান্তরে ব্যাবসায়ীরাও বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখা সত্ত্বেও তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। আমরা কোথায় স্থানান্তর হবো, স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি, আমাদের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়নি- এরকম বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। আমরা কিন্তু কঠোর রয়েছি। সুতরাং অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, তারা যেন সরেজমিনে এগুলো পরিদর্শন করে এবং যেগুলো বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে সেগুলো অচিরেই বন্ধ করে দেয়। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আজ আমরা যে জায়গায় এসেছি, শ্যামপুর খালের এই অংশ এখনো দখল অবস্থায় আছে। আমরা তা দখলমুক্ত করবো। এখানকার এই সেতুটা দীর্ঘ ৪০ বছর আগে এলজিআইডি’র করা। এখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে, যাতে করে পানির প্রবাহটা একদম নিশ্চিত হয় ও খালটি প্রশস্ত হয়। এছাড়াও এই সেতুর নীচ দিয়ে যাতে নৌকা চলাচল করতে পারে, সেই কার্যক্রমও হাতে নেয়া হবে। এর আগে মেয়র নগরীর ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর (এসটিএস) কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির মামলায় রাজউকের সাবেক কর্মচারীর ৭ বছরের কারাদ-

স্থানান্তর প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় পুরান ঢাকায় এখনো কেমিক্যাল কারখানা: মেয়র তাপস

আপডেট সময়ঃ ০৮:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতায় পুরান ঢাকায় বেআইনিভাবে এখনো কেমিক্যাল কারখানা চালু রয়েছে। সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার ডএসসিসি মেয়র নগরীর ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদবাগ ভূগর্ভস্থ পয়ঃনালী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন। ব্যারিস্টার তাপস বলেন, পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম সরাতে সিটি করপোরেশন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০১৭ সালের পর থেকে আর কোন ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি না। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে যে, স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সেখানে (পুরান ঢাকায়) বেআইনিভাবে এখনো কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম চালু রয়েছে। পুরান ঢাকায় ঘটে যাওয়া অগ্নিকান্ডের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা অত্যন্ত অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। বিষয়টি আমি অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নজরে আনছি। এই নিয়ে আমি শিল্প মন্ত্রীর সাথে, বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে সভা করেছি। এগুলো দ্রুত যেন স্থানান্তরের ব্যবস্থা করে। মেয়র বলেন, আমরা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রত্যেক বছরই প্রাণহানি হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটছে। সুতরাং অনুরোধ করবো এ ব্যাপারে তারা যেন দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। স্থানান্তরে ব্যাবসায়ীরাও বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখা সত্ত্বেও তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। আমরা কোথায় স্থানান্তর হবো, স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি, আমাদের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়নি- এরকম বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। আমরা কিন্তু কঠোর রয়েছি। সুতরাং অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, তারা যেন সরেজমিনে এগুলো পরিদর্শন করে এবং যেগুলো বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে সেগুলো অচিরেই বন্ধ করে দেয়। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আজ আমরা যে জায়গায় এসেছি, শ্যামপুর খালের এই অংশ এখনো দখল অবস্থায় আছে। আমরা তা দখলমুক্ত করবো। এখানকার এই সেতুটা দীর্ঘ ৪০ বছর আগে এলজিআইডি’র করা। এখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে, যাতে করে পানির প্রবাহটা একদম নিশ্চিত হয় ও খালটি প্রশস্ত হয়। এছাড়াও এই সেতুর নীচ দিয়ে যাতে নৌকা চলাচল করতে পারে, সেই কার্যক্রমও হাতে নেয়া হবে। এর আগে মেয়র নগরীর ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর (এসটিএস) কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।