নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠে জিয়াউর রহমানের চেয়ে আওয়ামী লীগের বেয়ারার বড় ভূমিকা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন জিয়াউর রহমান। তবে ঘোষণা পাঠে জিয়াউর রহমানের চেয়ে তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের বেয়ারা নুরুল হক বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের জন্ম অগণতান্ত্রিকভাবে ক্যান্টনমেন্টে আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলের জন্ম, সে দলের নেতা যখন গণতন্ত্রের কথা বলেন তখন মানুষ হাসে। কারণ এটা বলার অধিকার তাদের কতটুকু আছে সেটা হচ্ছে প্রশ্ন। জিয়াউর রহমান ১৭ এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকারের চাকুরে ছিলেন। ৪০০ টাকা বেতনের চাকরি করতেন। তিনি নিয়মিত বেতন গ্রহণ করেছেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন, ঘোষক নন। ঘোষণা পাঠ আরও অনেকে করেছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, ২৬ মার্চ। আর জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। স্কুলের দপ্তরিকে যারা হেড মাস্টার বানাতে চায় তাদের নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। দপ্তরি ঘণ্টা বাজান কিন্তু কখন ছুটি হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন হেড মাস্টার। সুতরাং দপ্তরিকে হেড মাস্টার বানানোর চেষ্টা করে কোনও লাভ নেই। ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা শুধু এম এ হান্নান নয়, আরও অনেকে দিয়েছেন। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের বেয়ারা ছিলেন নুরুল হক। আমি ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম। সারারাত গোলাগুলির বিভীষিকা আমি দেখিনি, কারণ অন্ধকারে ঘরের ভেতর লুকিয়ে ছিলাম। কিন্তু অনুভব করেছি। পরেরদিন সকাল বেলা যেখানে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ২৬ মার্চও চট্টগ্রামের বহু জায়গায় যেগুলো বিহারি অধ্যুষিত জায়গা ছিল সেখানে হত্যাকা- চলেছে। সে সময় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের বেয়ারা নুরুল হক নিজের জীবন বাজি রেখে মাইকিং করে পুরো শহরে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এটা পাঠ করে শোনান। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানতো চার দেয়ালের মধ্যে বসে প্রহরী পরিবেষ্টিত অবস্থায় ২৭ মার্চ ঘোষণা পাঠ করেছেন। নুরুল হক নিজের জীবন হাতে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন। ঘোষণা পাঠ করার জন্য যদি বাহবা দিতে হয় তাহলে নুরুল হক বাহবা পাওয়ার বেশি যোগ্য জিয়াউর রহমানের থেকে। কারণ নুরুল হকের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আসলে পাকিস্তানের গণতন্ত্রের উদাহরণ দিয়ে তাদের স্বরূপ উন্মোচন হয়ে গেছে তো। তাদের পাকিস্তান প্রীতি মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়েছে, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
সর্বশেষঃ
স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠে জিয়ার চেয়ে আ.লীগের বেয়ারার বড় ভূমিকা ছিল: তথ্যমন্ত্রী
-
দৈনিক আইন বার্তা
- আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
- ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ