• শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
সংসদ নির্বাচনে কোনো হুমকি দেখছি না: আইজিপি ধানের দাম কম, উৎপাদন খরচ ফেরত পাচ্ছে না চাষীরা, ক্ষতির মুখে কৃষক ১৭০টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে দেবে না আওয়ামী লীগ বান্দরবানে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন শান্তিরক্ষার দায়িত্বে সরকার সচেতন থাকবে: আইনমন্ত্রী পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী হরতাল-অবরোধের প্রভাব পণ্য পরিবহনে, বাড়তি ব্যয়ের বোঝা ভোক্তাদের কাঁধে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত করা হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী বিশ্বকাপ ব্যর্থতা, অনুসন্ধানে বিসিবির কমিটি পোর্তোকে হারিয়ে নক আউট পর্বে বার্সেলোনা

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রেরণাশক্তি : রাষ্ট্রপতি

Reporter Name / ১৩৮ Time View
Update : শনিবার, ৭ মে, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এ অঞ্চলের জনগণের প্রেরণাশক্তি। আগামীকাল রোববার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। খবর তথ্য বিবরণীর। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক বিস্ময়কর প্রতিভা। বাংলা সাহিত্যকে তিনি তুলে ধরেছেন বিশ্বপরিমন্ডলে। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিনাট্যকার, প্রবন্ধকার। সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি। সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তিনি মানবতার জয়গান করেছেন। মনুষ্যত্বের বিকাশ ও মানবমুক্তি ছিল তার জীবনবোধের প্রধানতম দিক। শুধু সাহিত্যসাধনা নয়, পূর্ববঙ্গের জমিদারি পরিচালনার পাশাপাশি দরিদ্র প্রজাসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও মানবিক বিকাশের জন্য তিনি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এসব প্রয়াসের মধ্যে তার মানবহিতৈষী মন ও জনকল্যাণ চেতনার গভীর পরিচয় মেলে। আবদুল হামিদ বলেন, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ বহুমুখী অবদান রেখে গেছেন। পূর্ববঙ্গের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের স্থাপিত হয়েছিল গভীর সম্পর্ক। এখনকার দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে তার মাঝে মানবসমাজ সম্পর্কে নতুন উপলব্ধি জন্মেছিল। এ উপলব্ধি তার সাহিত্যে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এজন্য পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। লালন ফকিরের গান তাকে পরিণত করেছে রবীন্দ্রবাউলে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ এবং ধর্ম-বর্ণ-বিত্ত-লিঙ্গ নির্বিশেষে সর্বমানবের মুক্তির চেতনা রবীন্দ্রনাথকে অনন্য উচ্চতা দান করেছে। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বাঙালির অমৃতসন্তান। তার গান বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আমাদের প্রেরণাশক্তি। তার গান, সাহিত্য ও কর্মচেতনা বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। পাকিস্তানবাদী সংস্কৃতির বিপরীতে রবীন্দ্রসাহিত্য ছিল আমাদের প্রধান অবলম্বন। রবীন্দ্রনাথ শেষ জীবনে ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে প্রাচ্যদেশ থেকে এক মহামানবের আগমন প্রত্যাশা করেছিলেন; যিনি সমস্ত সংকট-সমস্যায় হবেন কান্ডারি; তিনি আর কেউ নন-স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে মহান ভাবাদর্শে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ভাবনা ছিল অন্যতম। বঙ্গবন্ধু এ জন্যই রবীন্দ্রনাথের গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশে এবং জাঁতি হিসেবে সার্বিক মুক্তিচেতনায় তিনি আমাদের প্রেরণা হয়ে থাকবেন।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে গত দুই বছর রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা সম্ভব হয়নি। এবার সাড়ন্বরে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে। ‘চির নূতনেরে দিল ডাক, পঁচিশে বৈশাখ’ বাঙালির অন্তরকে ছুঁয়ে যাক- এ আমার উদাত্ত আহ্বান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category