নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কোরবানির হাটগুলোতে বিনামূল্যে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা: দেশীয় পশুতে কোরবানি, খামারিদের সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভ স্টক জার্নালিস্টস ফোরাম এ সেমিনারের আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি স্বীকৃত পশুর হাটেই আমাদের ভ্যাটেনারি অ্যারেঞ্জমেন্ট থাকবে। যাতে হাটে কেউ অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত পশু না আনেন কিংবা আনলেও ওই পশু যাতে বিক্রি না হয়। আমরা বিনামূল্যে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করবো। শ ম রেজাউল করিম বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে এবারের কোরবানি আয়োজনে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আগে ঘাটে অপেক্ষা করার সময় খামারিদের চাঁদাবাজির খপ্পরে পড়তে হতো, আর এখন তারা এক টানে চলে আসছেন। কোরবানির পশু বিক্রিতে খামারিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর আগে কোনো হাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ওই হাট কমিটির লোকজন খামারিদের তাদের হাটে পশু নামাতে বাধ্য করতেন। কিন্তু এবার আমরা নিয়ম করে দিয়েছি, যিনি পশু নিয়ে আসবেন তিনি কোথায় বিক্রি করবেন সেটা তার ইচ্ছে, তাকে কেউ জোর করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, খামারিরা তাদের বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে হাসিল দিতে হবে না। রাস্তায় বিক্রি করলেও কোনো টাকা দিতে হবে না। যেখানে-সেখানে পশুর হাট বসানো নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আন্তঃমন্ত্রনালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত হলো, চলাচলের ক্ষেত্রে জনসাধারণকে অসুবিধা ও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় এমন স্থানে হাট বসবে না। খামারিদের ভালো রাখার জন্য আন্তরিকতার কমতি নেই জানিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আমরা খামারিদের ভালোভাবে রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এর আগে ক্রান্তিকালে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তাদের প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। হয়তো প্রয়োজন অনুযায়ী সবাইকে দিতে পারিনি, কিন্তু আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না। করোনাকালে অনেক মন্ত্রণালয় বন্ধ থাকলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি দিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি। আমি নিয়মিত অফিস করেছি, চাপ সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করিয়েছি। শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিবিদদের অনেকেই তাদের হিসাব-নিকাশ ও পা-িত্ব দিয়ে বলেছিলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়। কিন্তু আজ প্রমাণিত হয়েছে, অর্ধেক অর্থনীতিবিদদের ওপরের অর্থনীতিবিদ শেখ হাসিনা। অনেক ইঞ্জিনিয়ার, স্থপতি বলেছিলেন, এটি নির্মাণ করা সম্ভব নয়। আজ মনে হচ্ছে, সেসব ইঞ্জিনিয়ার ও স্থপতিদের ওপরের স্থপতি শেখ হাসিনা। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভ স্টক জার্নালিস্টস ফোরামের সভাপতি এম. এ. জলিল মুন্না রায়হান প্রমুখ।