নিজস্ব প্রতিবেদক :
হাতি হত্যা বন্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে গ্রহণ করা পদক্ষেপ কী তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে হাতি হত্যা নিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন আদালত। আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। জারি করা রুলে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোরকে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ ছাড়া রুলে হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ সচিব, তথ্য সচিব, আইন সচিব, বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ২১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান খালিদ আদনান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। এর আগে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিনসহ তিন ব্যক্তি। গত রোববার তারা হাইকোর্টে এই রিট করেন। আইনজীবী জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকায় একের পর এক বন্য হাতি হত্যা করা হচ্ছে। এসব ঘটনা বন্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করা হয়েছে। আদালত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে আদেশসহ রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হাতি হত্যা নিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন আদালত। আইনজীবী আরও বলেন, বন অধিদপ্তর থেকে জরিপ করে বন্য হাতি চলাচলের জন্য ১২টি করিডোর নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ওই সব করিডোর এখনো বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়নি। যে কারণে বন্য হাতির চলাচলের জায়গায় মানুষজন বাড়ি-ঘর বানাচ্ছে। এতে হাতির চলাচলের বিঘœ ঘটায় হাতি সেগুলো ভাংচুর করে। অন্যদিকে মানুষ বন্য হাতিকে বিভিন্নভাবে হত্যা করছে। এভাবেই হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। অথচ আগেই এসব করিডোর সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হলে এভাবে হাতি হত্যা হতো না।
ঢাকা
১২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষঃ
হাতি হত্যা বন্ধে পদক্ষেপ কী জানতে চান হাইকোর্ট
-
দৈনিক আইন বার্তা
- আপডেট সময়ঃ ১০:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
- ৩৩০ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ