নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ আশালয় হাউজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলার আসামি আমিন মোহাম্মদ হিলালীকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে যায়। তিনটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হিলালীর দশ আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। এ ছাড়া সাদা কাগজে এবং লেখা কাগজে সই নেওয়া হয় তার। অসুস্থ অবস্থায় হিলালী বর্তমানে একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমিন মোহাম্মদ হিলালীর পরিবারের সদস্যরা এসব দাবি করেছেন। আজ মঙ্গলবার আমিন মোহাম্মদ হিলালীর বড় ভাই রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, তিনটি মাইক্রোবাসে তার ভাইকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে যায়। তবে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে নিয়ে গিয়ে কোনো টর্চার করেনি। গত সোমবার আমিন মোহাম্মদ হিলালী মাথা ঘুরে পড়ে যায়। আগে থেকে হার্টে সমস্যা ছিল তার। এখন তা আবার বেড়ে যায়। এরপর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন হাসপাতালটির আইসিইউতে আছেন। কোন হাসপাতালে ভর্তি আছেন জানতে চাইলে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ তিনি হাসপাতালের নাম জানাননি। হিলালীর বড় ভাই আরও বলেন, তার ভাইয়ের দশ আঙুলের ছাপ নেয় ওই ব্যক্তিরা। সাদা কাগজে এবং লেখা কাগজেও সই নেয় তারা। তবে লেখা কাগজে কী লেখা ছিল তা ঢাকা ছিল। কাগজে তাকানো নিষেধ ছিল। এর আগে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন আমিন মোহাম্মদ হিলালী। এরপর রোববার রাতে সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলতলা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ও ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।