০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ | ই-পেপার

১২৪৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসিন চৌধুরী বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ১২শ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ওই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ৯ মার্চ মামলাটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াসিন চৌধুরী। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তিনি দুবাইয়ে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে ইয়াসিন চৌধুরীর কাছে শুধু একটি ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ২৪৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফান্ডেড বা নগদ ঋণ ৯১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং নন-ফান্ডেড (এলসি ও ব্যাংক গ্যারান্টি) ৩২৫ কোটি টাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাড়ছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম

১২৪৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসিন চৌধুরী বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ১২শ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ওই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ৯ মার্চ মামলাটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াসিন চৌধুরী। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তিনি দুবাইয়ে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে ইয়াসিন চৌধুরীর কাছে শুধু একটি ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ২৪৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফান্ডেড বা নগদ ঋণ ৯১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং নন-ফান্ডেড (এলসি ও ব্যাংক গ্যারান্টি) ৩২৫ কোটি টাকা।