নিজস্ব প্রতিবেদক :
পদ্মা সেতুর নাম করে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা জালিয়াতি ও আত্মসাতের মামলায় এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার সাবেক ম্যানেজার এবিএম আবদুস সাত্তারকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এদিন আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো.কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলী। এ কে এম আমিন মানিক জানান, অন্য দুই আসামির (শহীদুল ইসলাম ও আবদুর রহিম) জামিন শুনানিতে গত ৭ ডিসেম্বর এ মামলার ১৫ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এরপর গত ১০ জানুয়ারি আবদুস সাত্তার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেখানে জামিন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত গতকাল বুধবার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। এর আগে গত ১ নভেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এবিএম আবদুর সাত্তারের জামিন নামঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৯ জুন এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী, ব্যাংকের সাবেক এমডি শামীম আহমেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার আসামিরা হলেন, এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী, এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার সাবেক ম্যানেজার এ বি এম আবদুস সাত্তার, কাকরাইল শাখার সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুর রহিম, কাকরাইল শাখার এসভিপি মো. আনিসুর রহমান, সাবেক ভিপি শহিদুল ইসলাম, এভিপি মো. রুহুল আমিন, ইভিপি ওয়াসিকা আফরোজ, সাবেক ইভিপি মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসইভিপি সালমা আক্তার, এভিপি মো. এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম, এমভিপি শামীম এ মোরশেদ, কাকরাইল শাখার ভিপি খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ভিপি মোহাম্মদ মাহফুজ উল ইসলাম, কাকরাইল শাখার ডিএমডি মশিউর রহমান চৌধুরী ও সাবেক এমডি শামীম আহমেদ। পরে শহিদুল ইসলাম ও আবদুর রহিম হাইকোর্টে আগাম জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নিম্ন আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর এ দুই আসামি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করলে গত ৭ ডিসেম্বর সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন আদালত।