ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

অফিস সময়ে চিকিৎসকরা হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:০৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অফিস সময়ে যে হাসপাতালের বাইরে যায় সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সমান্ত লাল সেন। তিনি বলেন, কথায় কথায় দেখা যায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ করা হয়। মূলত ভুল চিকিৎসা বলতে কিছু নেই, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার আমাদের কারও নেই। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের উদ্দেশ্যে আমি বলি, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার একমাত্র আছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি)। কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যদি সেখানে অভিযোগ করা হয়, তারা যাচাই-বাছাই করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা এবং অবহেলাজনিত কারণে বিএমডিসি তাদের শাস্তির আওতায় এনেছে। সুতরাং হঠাৎ করে আমরা ভুল চিকিৎসা বলে দেব সেটি কিন্তু হয় না। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যদি চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠে এবং প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে আমি একটা কথাই বলি, আমি এ জায়গায় আসবো তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। এর আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার ভালো দিক আছে, সবসময় আমরা সেগুলোর মূল্যায়ন করি। তেমনি কিছু খারাপ দিকই আছে, সেই দিকটাও আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। সেই অনুযায়ী আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আজ যেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এসেছি সেটিও কিছুদিন আগে নানা বিষয়ে সমালোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা তাদের প্রাইভেট প্রেক্টিস করেন, সেটি তারা করতেই পারেন, এটা তাতের অধিকার। কিন্তু আমি উপলব্দি করেছি এবং দেখেছি কিছু চিকিৎসক ১২টার আগেই তাদের প্রাইভেট চেম্বারে চলে যান। কিছুদিন আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন চিকিৎসক অফিস চলাকালীন প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে অপারেশন করেছেন, এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই রোগীটি মারা যান। আমার কাছে যখন খবরটি এসেছে আমি তখন লজ্জায় মাথা উঠাতে পারছিলাম না। বিষয়গুলো আমাদের কঠোরভাবেই দেখতে হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট টাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অফিস সময়ে চিকিৎসকরা হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৯:০৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অফিস সময়ে যে হাসপাতালের বাইরে যায় সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সমান্ত লাল সেন। তিনি বলেন, কথায় কথায় দেখা যায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ করা হয়। মূলত ভুল চিকিৎসা বলতে কিছু নেই, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার আমাদের কারও নেই। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের উদ্দেশ্যে আমি বলি, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার একমাত্র আছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি)। কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যদি সেখানে অভিযোগ করা হয়, তারা যাচাই-বাছাই করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা এবং অবহেলাজনিত কারণে বিএমডিসি তাদের শাস্তির আওতায় এনেছে। সুতরাং হঠাৎ করে আমরা ভুল চিকিৎসা বলে দেব সেটি কিন্তু হয় না। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যদি চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠে এবং প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে আমি একটা কথাই বলি, আমি এ জায়গায় আসবো তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। এর আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার ভালো দিক আছে, সবসময় আমরা সেগুলোর মূল্যায়ন করি। তেমনি কিছু খারাপ দিকই আছে, সেই দিকটাও আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। সেই অনুযায়ী আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আজ যেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এসেছি সেটিও কিছুদিন আগে নানা বিষয়ে সমালোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা তাদের প্রাইভেট প্রেক্টিস করেন, সেটি তারা করতেই পারেন, এটা তাতের অধিকার। কিন্তু আমি উপলব্দি করেছি এবং দেখেছি কিছু চিকিৎসক ১২টার আগেই তাদের প্রাইভেট চেম্বারে চলে যান। কিছুদিন আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন চিকিৎসক অফিস চলাকালীন প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে অপারেশন করেছেন, এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই রোগীটি মারা যান। আমার কাছে যখন খবরটি এসেছে আমি তখন লজ্জায় মাথা উঠাতে পারছিলাম না। বিষয়গুলো আমাদের কঠোরভাবেই দেখতে হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট টাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।