ঢাকা, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

অবৈধ সম্পদ-জাল সনদ: বিআরটিএ কর্মকর্তা ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:১০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
  • / ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল এবং ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহারের অভিযোগে যথাক্রমে বিআরটিএ কর্মকর্তা ও একজন স্কুলশিক্ষিকার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একটি মামলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আ. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৩৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগে আনা হয়েছে। অপর মামলায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাবেয়া খাতুন রুবির বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরিতে যোগদানের অভিযোগ উঠেছে। রাববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে এ দুটি মামলা করেন। আজ সোমবার দুদকের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করে। বিআরটিএর এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তা ভোগদখলে রাখা ও ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় এ মামলা হয়েছে। গত রোববার দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র পৃথক মামলা করেছেন রাবেয়া খাতুন রুবি নামের এক স্কুলশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। যিনি ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ২০০৯ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে চাকরিতে যোগদান করেন। মামলার এজহারে জানা গেছে, চাকুরিতে যোগদানের আগে আসামি রাবেয়া খাতুন রুবি জাতীয় বহুভাষি সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নট্রামস) নামের প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড প্রোগ্রামিং কোর্সের জাল সার্টিফিকেট তৈরি করেন। ২০০৯ সালের মে মাসে তার এমপিওভুক্তি হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে আসামির দাখিল করা সনদটি জাল মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় তার নিয়োগ বিধিসম্মত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে ২০০৯ সালের ১ মে থেকে ২০১৯ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয় থেকে উত্তোলিত বেতন-ভাতা বাবদ মোট ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬৫০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। দ-বিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আসামি রুবির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অবৈধ সম্পদ-জাল সনদ: বিআরটিএ কর্মকর্তা ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময়ঃ ০৯:১০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল এবং ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহারের অভিযোগে যথাক্রমে বিআরটিএ কর্মকর্তা ও একজন স্কুলশিক্ষিকার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একটি মামলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আ. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৩৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগে আনা হয়েছে। অপর মামলায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাবেয়া খাতুন রুবির বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরিতে যোগদানের অভিযোগ উঠেছে। রাববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে এ দুটি মামলা করেন। আজ সোমবার দুদকের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করে। বিআরটিএর এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তা ভোগদখলে রাখা ও ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় এ মামলা হয়েছে। গত রোববার দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র পৃথক মামলা করেছেন রাবেয়া খাতুন রুবি নামের এক স্কুলশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। যিনি ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ২০০৯ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে চাকরিতে যোগদান করেন। মামলার এজহারে জানা গেছে, চাকুরিতে যোগদানের আগে আসামি রাবেয়া খাতুন রুবি জাতীয় বহুভাষি সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নট্রামস) নামের প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড প্রোগ্রামিং কোর্সের জাল সার্টিফিকেট তৈরি করেন। ২০০৯ সালের মে মাসে তার এমপিওভুক্তি হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে আসামির দাখিল করা সনদটি জাল মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় তার নিয়োগ বিধিসম্মত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে ২০০৯ সালের ১ মে থেকে ২০১৯ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয় থেকে উত্তোলিত বেতন-ভাতা বাবদ মোট ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬৫০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। দ-বিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আসামি রুবির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।