ঢাকা, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

আদালতে কোন মামলা সরাসরি আমলে নেয়া যাবে না

শিব ব্রত চক্রবর্ত্তী
  • আপডেট সময়ঃ ১০:০১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৫(১ক) ধারায় বর্ণিত রয়েছে যে, সরকারী কর্মচারীর আইনসঙ্গত কর্তৃত্ব অবমাননার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মচারী অথবা তার উর্ধ্বতন অপর কোন সরকারী কর্মচারীর লিখিত অভিযোগ ছাড়া দন্ডবিধির ১৭২ হতে ১৮৮ ধারাগুলোতে বর্ণিত কোন দন্ডনীয় অপরাধ বিষয়ে কোন মামলা আদালত আমলে নিবেন না। সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া যদি কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তবে তা অবৈধ ও ক্ষমতা বহির্ভূত হিসেবে গণ্য হবে। তবে চাকরি ব্যাতীত ব্যাক্তিগত কোন অপরাধ করলে সেক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ থাকবেনা।

আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কিত অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৫ (১খ) ধারার বিধান মোতাবেক আদালতের কোন কার্যক্রম বা কোন কার্যক্রম সম্পর্কে অপরাধ করা হয়েছে মর্মে যদি অভিযোগ আনীত হয় তবে উক্ত আদালত বা তার উর্ধ্বতন অপর কোন আদালতের লিখিত অভিযোগ ছাড়া দন্ডবিধির ১৯৩-১৯৬, ১৯৯, ২০০, ২০৫-২১১ এবং. ২২৮ ধারার বিধান মোতাবেক দন্ডনীয় অপরাধের কোন মামলা আমলে নেয়া যাবে না। ১৯৫ (১খ) ধারার অধীনে নালিশ পাবার পর কারণ দর্শানোর আদেশ দেয়ার কোন এখতিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট সংরক্ষণ করেন না। তিনি সরাসরি মামলার বিচার করবেন।

আদালতের কার্যক্রমে দাখিলকৃত দলিল সম্পর্কে অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৫ (১গ) ধারার বর্ণনা মোতাবেক অপরাধটি কোন আদালতের কোন কার্যক্রমে দাখিলকৃত বা সাক্ষ্য প্রমাণে গৃহীত কোন দলিল সম্পর্কে উক্ত কার্যক্রমের কোন পক্ষ কর্তৃক সংঘটিত হয়েছে মর্মে অভিযোগ উত্থাপিত হলে উক্ত আদালত বা তার উর্ধ্বতন কোন আদালতের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত দন্ডবিধির ৪৬৩ ধারায় বর্ণিত অথবা ৪৭১, ৪৭৫ বা ৪৭৬ ধারা অনুসারে দন্ডনীয় কোন অপরাধ আমলে নিবেন না। সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৫ (১গ) ধারা
মোতাবেক যদি নালিশ দায়ের করা না হয় তবে অপরাধ আমলে নেয়া যাবে না।

রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ সম্পর্কিত মামলাঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৬ ধারায় বলা হয়েছে যে,সরকার অথবা সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন অফিসারের আদেশ বলে দায়েরকৃত নালিশ ব্যতীত কোন আদালত দন্ডবিধির ৬ বা ৯-ক অধ্যায়ে কোন অপরাধ (১২৭ ধারা ব্যতীত) অথবা ১০৮ক, ১৫৩-ক বা ২৯৪ বা ২৯৫-ক বা ৫০৫ ধারা অনুসারে দন্ডনীয় কোন অপরাধ আমলে নিবেন না। ১৯৬ ধারার অধীনে অভিযোগ আনয়নের জন্য অবশ্যই সরকারের অনুমতি নিতে হবে। যদি এরূপ অনুমতি না থাকে তবে অত্র ধারার আওতায় আনীত অভিযোগ অবৈধ হবে। দন্ডবিধিতে বিধৃত যেসব অপরাধের প্রকৃতি বহুলাংশে রাজনৈতিক সেসব অপরাধ সম্পর্কে একমাত্র সরকারই মামলা রুজু করার বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৭ ধারায় বর্ণিত হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে কোন জজ বা কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা কোন সরকারী কর্মচারী তার সরকারী কর্তব্য পালনের সময় বা পালনরত অবস্থায় কোন অপরাধ করেছেন মর্মে অভিযোগ উত্থাপিত হয় তবে তখন সরকারের পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে কোন আদালত সেরূপ অপরাধ আমলে নিবেন না।
সরকারী কর্মচারী অথবা বিচারক সরকারী পদমর্যাদায় কোন অপরাধ সংঘটন করছেন বলে দাবী করা হলে সরকারের অনুমোদন ব্যতীত কোন আদালত তা আমলে আনতে পারেন না। কিন্তু অনুমোদন ছাড়া নালিশকারীকে পরীক্ষা করা যায়। কর্মচারীর প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৭(১) ধারার আওতায় অভিযোগ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অনুমতি দরকার। যে কাজের জন্য অভিযোগ করা হয়েছে তা প্রত্যক্ষভাবে তার দায়িত্বের সাথে

সংশ্লিষ্ট হলে অবশ্যই অনুমতির প্রয়োজন হবে। চুক্তি ভঙ্গ মানহানি ও বিবাহ সম্পর্কিত অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৮ ধারামতে কোন আদালত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তির অভিযোগ ব্যতীত ফৌজদারি কার্যবিধির বা ৪৯৩ হতে ৪৯৬ ধারা অনুসারে কোন অপরাধ আমলে নিবেন না, তবে শুধু সচে যে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি যদি পর্দানশীল মহিলা হয় অথবা উক্ত ব্যাক্তির বয়স যদি ১৮ বৎসরের কম হয় অথবা সে যদি জড়বুদ্ধি সম্পন্ন বা উন্মাদ হয় অথবা ব্যাধি বা জরাগ্রস্ত হয়ে মামলা করতে অসমর্থ হয় তাহলে আদালতের অনুমতি নিয়ে কোন ব্যাক্তি তার পক্ষে মামলা করতে পারবেন। কুৎসা জনক অপবাদে কন্যারা তাদের পিতামাতার সাথে বসবাস করলে উক্ত পিতামাতা ১৯৮ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। আবার বিবাহিতা এবং স্বামীর সঙ্গে বসবাসরতা ২০ বছর বয়সী কন্যার বিরুদ্ধে অসৎ অভিযোগ আরোপের ব্যাপারে দন্ডবিধির ৫০০ ধারা মোতাবেক নালিশ দায়ের করতে পারবেন। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত হয় যে বিবাহিত ও স্বামীর সঙ্গে বসবাসরত ২০ বছর বয়সী কন্যার বিরুদ্ধে অসতীত্বের অভিযোগ আনয়ন করা হলে পিতা-মাতা এই বিষয়ে দন্ড বিধির ৫০০ ধারা অনুসারে আদালতে মামলা দায়ের করতে যোগ্যতাসম্পন্ন নন।

ব্যভিচার ও বিবাহিতা স্ত্রীলোককে ফুসলিয়ে নিয়ে যাবার অপরাধঃ
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৯ ধারায় বিধান করা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট স্ত্রীলোকটির স্বামী অথবা তার অনুপস্থিতিতে যে ব্যক্তি তার পক্ষ হতে অপরাধ সংঘটনের সময় স্ত্রীলোকটি তত্ত্বাবধানে থাকতো, সে ব্যাক্তির নালিশ ব্যাতীত কোন আদালত দন্ডবিধির ৪৯৭ বা ৪৬৮ ধারার কোন অপরাধ আমলে নিবেন না। তবে স্বামীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে বা সে জড়বুদ্ধিসম্পন্ন হলে বা ব্যাধি বা জরাগ্রস্ততার ফলে নালিশ করতে অসমর্থ হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে অন্যকোন লোককে নালিশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। মহিলার স্বামী বা এ ধারায় বর্ণিত ব্যাক্তিকে নালিশ দায়ের করতে হবে।

কোর্ট মার্শালে বিচার্য অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪৯ ধারামতে, কোর্ট মার্শাল বিচার্য ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ কোন ম্যাজিস্ট্রেট আমলে না নিয়ে অপরাধের একটি বিবরণ সেনা, বো নৌ বা বিমান বাহিনীর কমান্ডিং অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন। বিচারের এখতিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটের থাকে না। দায়রা আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের উপরও এই বাধা বলবৎ থাকে। উল্লেখ্য যে, আবার সামরিক কর্মকর্তার বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির নিয়ম প্রয়োগ করা গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দুটি পথ খোলা থাকে। আসামীকে নির্দেশদানক্ষম অফিসারের নিকট নোটিশ দিতে হবে এবং নোটিশ বিলি হবার পর পাঁচ দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে। যথাযোগ্য সামরিক, নৌ বা বিমান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা হলে সেক্ষেত্রেও তিনি আসামীর বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করবেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আদালতে কোন মামলা সরাসরি আমলে নেয়া যাবে না

আপডেট সময়ঃ ১০:০১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৫(১ক) ধারায় বর্ণিত রয়েছে যে, সরকারী কর্মচারীর আইনসঙ্গত কর্তৃত্ব অবমাননার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মচারী অথবা তার উর্ধ্বতন অপর কোন সরকারী কর্মচারীর লিখিত অভিযোগ ছাড়া দন্ডবিধির ১৭২ হতে ১৮৮ ধারাগুলোতে বর্ণিত কোন দন্ডনীয় অপরাধ বিষয়ে কোন মামলা আদালত আমলে নিবেন না। সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া যদি কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তবে তা অবৈধ ও ক্ষমতা বহির্ভূত হিসেবে গণ্য হবে। তবে চাকরি ব্যাতীত ব্যাক্তিগত কোন অপরাধ করলে সেক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ থাকবেনা।

আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কিত অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৫ (১খ) ধারার বিধান মোতাবেক আদালতের কোন কার্যক্রম বা কোন কার্যক্রম সম্পর্কে অপরাধ করা হয়েছে মর্মে যদি অভিযোগ আনীত হয় তবে উক্ত আদালত বা তার উর্ধ্বতন অপর কোন আদালতের লিখিত অভিযোগ ছাড়া দন্ডবিধির ১৯৩-১৯৬, ১৯৯, ২০০, ২০৫-২১১ এবং. ২২৮ ধারার বিধান মোতাবেক দন্ডনীয় অপরাধের কোন মামলা আমলে নেয়া যাবে না। ১৯৫ (১খ) ধারার অধীনে নালিশ পাবার পর কারণ দর্শানোর আদেশ দেয়ার কোন এখতিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট সংরক্ষণ করেন না। তিনি সরাসরি মামলার বিচার করবেন।

আদালতের কার্যক্রমে দাখিলকৃত দলিল সম্পর্কে অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৫ (১গ) ধারার বর্ণনা মোতাবেক অপরাধটি কোন আদালতের কোন কার্যক্রমে দাখিলকৃত বা সাক্ষ্য প্রমাণে গৃহীত কোন দলিল সম্পর্কে উক্ত কার্যক্রমের কোন পক্ষ কর্তৃক সংঘটিত হয়েছে মর্মে অভিযোগ উত্থাপিত হলে উক্ত আদালত বা তার উর্ধ্বতন কোন আদালতের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত দন্ডবিধির ৪৬৩ ধারায় বর্ণিত অথবা ৪৭১, ৪৭৫ বা ৪৭৬ ধারা অনুসারে দন্ডনীয় কোন অপরাধ আমলে নিবেন না। সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৫ (১গ) ধারা
মোতাবেক যদি নালিশ দায়ের করা না হয় তবে অপরাধ আমলে নেয়া যাবে না।

রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ সম্পর্কিত মামলাঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৬ ধারায় বলা হয়েছে যে,সরকার অথবা সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন অফিসারের আদেশ বলে দায়েরকৃত নালিশ ব্যতীত কোন আদালত দন্ডবিধির ৬ বা ৯-ক অধ্যায়ে কোন অপরাধ (১২৭ ধারা ব্যতীত) অথবা ১০৮ক, ১৫৩-ক বা ২৯৪ বা ২৯৫-ক বা ৫০৫ ধারা অনুসারে দন্ডনীয় কোন অপরাধ আমলে নিবেন না। ১৯৬ ধারার অধীনে অভিযোগ আনয়নের জন্য অবশ্যই সরকারের অনুমতি নিতে হবে। যদি এরূপ অনুমতি না থাকে তবে অত্র ধারার আওতায় আনীত অভিযোগ অবৈধ হবে। দন্ডবিধিতে বিধৃত যেসব অপরাধের প্রকৃতি বহুলাংশে রাজনৈতিক সেসব অপরাধ সম্পর্কে একমাত্র সরকারই মামলা রুজু করার বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৭ ধারায় বর্ণিত হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে কোন জজ বা কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা কোন সরকারী কর্মচারী তার সরকারী কর্তব্য পালনের সময় বা পালনরত অবস্থায় কোন অপরাধ করেছেন মর্মে অভিযোগ উত্থাপিত হয় তবে তখন সরকারের পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে কোন আদালত সেরূপ অপরাধ আমলে নিবেন না।
সরকারী কর্মচারী অথবা বিচারক সরকারী পদমর্যাদায় কোন অপরাধ সংঘটন করছেন বলে দাবী করা হলে সরকারের অনুমোদন ব্যতীত কোন আদালত তা আমলে আনতে পারেন না। কিন্তু অনুমোদন ছাড়া নালিশকারীকে পরীক্ষা করা যায়। কর্মচারীর প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৭(১) ধারার আওতায় অভিযোগ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অনুমতি দরকার। যে কাজের জন্য অভিযোগ করা হয়েছে তা প্রত্যক্ষভাবে তার দায়িত্বের সাথে

সংশ্লিষ্ট হলে অবশ্যই অনুমতির প্রয়োজন হবে। চুক্তি ভঙ্গ মানহানি ও বিবাহ সম্পর্কিত অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৮ ধারামতে কোন আদালত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তির অভিযোগ ব্যতীত ফৌজদারি কার্যবিধির বা ৪৯৩ হতে ৪৯৬ ধারা অনুসারে কোন অপরাধ আমলে নিবেন না, তবে শুধু সচে যে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি যদি পর্দানশীল মহিলা হয় অথবা উক্ত ব্যাক্তির বয়স যদি ১৮ বৎসরের কম হয় অথবা সে যদি জড়বুদ্ধি সম্পন্ন বা উন্মাদ হয় অথবা ব্যাধি বা জরাগ্রস্ত হয়ে মামলা করতে অসমর্থ হয় তাহলে আদালতের অনুমতি নিয়ে কোন ব্যাক্তি তার পক্ষে মামলা করতে পারবেন। কুৎসা জনক অপবাদে কন্যারা তাদের পিতামাতার সাথে বসবাস করলে উক্ত পিতামাতা ১৯৮ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। আবার বিবাহিতা এবং স্বামীর সঙ্গে বসবাসরতা ২০ বছর বয়সী কন্যার বিরুদ্ধে অসৎ অভিযোগ আরোপের ব্যাপারে দন্ডবিধির ৫০০ ধারা মোতাবেক নালিশ দায়ের করতে পারবেন। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত হয় যে বিবাহিত ও স্বামীর সঙ্গে বসবাসরত ২০ বছর বয়সী কন্যার বিরুদ্ধে অসতীত্বের অভিযোগ আনয়ন করা হলে পিতা-মাতা এই বিষয়ে দন্ড বিধির ৫০০ ধারা অনুসারে আদালতে মামলা দায়ের করতে যোগ্যতাসম্পন্ন নন।

ব্যভিচার ও বিবাহিতা স্ত্রীলোককে ফুসলিয়ে নিয়ে যাবার অপরাধঃ
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৯ ধারায় বিধান করা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট স্ত্রীলোকটির স্বামী অথবা তার অনুপস্থিতিতে যে ব্যক্তি তার পক্ষ হতে অপরাধ সংঘটনের সময় স্ত্রীলোকটি তত্ত্বাবধানে থাকতো, সে ব্যাক্তির নালিশ ব্যাতীত কোন আদালত দন্ডবিধির ৪৯৭ বা ৪৬৮ ধারার কোন অপরাধ আমলে নিবেন না। তবে স্বামীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে বা সে জড়বুদ্ধিসম্পন্ন হলে বা ব্যাধি বা জরাগ্রস্ততার ফলে নালিশ করতে অসমর্থ হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে অন্যকোন লোককে নালিশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। মহিলার স্বামী বা এ ধারায় বর্ণিত ব্যাক্তিকে নালিশ দায়ের করতে হবে।

কোর্ট মার্শালে বিচার্য অপরাধঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪৯ ধারামতে, কোর্ট মার্শাল বিচার্য ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ কোন ম্যাজিস্ট্রেট আমলে না নিয়ে অপরাধের একটি বিবরণ সেনা, বো নৌ বা বিমান বাহিনীর কমান্ডিং অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন। বিচারের এখতিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটের থাকে না। দায়রা আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের উপরও এই বাধা বলবৎ থাকে। উল্লেখ্য যে, আবার সামরিক কর্মকর্তার বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির নিয়ম প্রয়োগ করা গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দুটি পথ খোলা থাকে। আসামীকে নির্দেশদানক্ষম অফিসারের নিকট নোটিশ দিতে হবে এবং নোটিশ বিলি হবার পর পাঁচ দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে। যথাযোগ্য সামরিক, নৌ বা বিমান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা হলে সেক্ষেত্রেও তিনি আসামীর বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করবেন।