ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

আপনারা কী ন্যায়বিচার করতে দেবেন না, প্রশ্ন হাইকোর্টের

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৪০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
  • / ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোনো একটি পক্ষ সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানকে শিশু আইন অনুসরণ করে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন আদালত। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদদীনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। এসময় আদালত প্রশ্ন তোলেন, আপনারা কি ন্যায়বিচার করতে দেবেন না? যিনি মারা গেছেন তার কি ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নেই? আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকা-ে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন তিনি। সেই থেকে দুটি মামলায় তদন্ত করছে পিবিআই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনারা কী ন্যায়বিচার করতে দেবেন না, প্রশ্ন হাইকোর্টের

আপডেট সময়ঃ ০৮:৪০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোনো একটি পক্ষ সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানকে শিশু আইন অনুসরণ করে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন আদালত। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদদীনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। এসময় আদালত প্রশ্ন তোলেন, আপনারা কি ন্যায়বিচার করতে দেবেন না? যিনি মারা গেছেন তার কি ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নেই? আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকা-ে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন তিনি। সেই থেকে দুটি মামলায় তদন্ত করছে পিবিআই।