০৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

ইউরোপ আমেরিকার মতো বান্দরবানেও টিউলিপ ফুলের চাষ হলো ডিসি বাংলো

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের বাসভবনে টিউলিপ ফুলের বাগান করা হয়েছে। ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দর্শনার্থী ভিড় করছেন টিউলিপ ফুলের বাগানে।
এই ফুল বাগানে ৬ রঙের টিউলিপ ফুল ফুটেছে। যত শীত পড়বে টিউলিপের জন্য তত ভালো। কিন্তু কুয়াশা পড়লে ফুলের জন্য ক্ষতি। এজন্য সানশেড দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক জানান, গত ১০ জানুয়ারি ৫০০ বীজ লাগানো হয় ৪-৫ দিনের মাথায় (১৫-১৬ জানুয়ারি) চারা গজিয়ে এক মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ ফুল হয়ে ফুটেছে। গাজিপুর থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই টিউলিপ আবার নেদারল্যান্ডস থেকে গাজীপুরে আনা হয়েছিল, গাজীপুর থেকে বর্তমান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বান্দরবানে এনে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সম্মুখে অল্প জায়গায় এই টিউলিপ ফুলের বাগান করেছেন বলে তিনি জানান।
বান্দরবানে এটি প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে। এটি সফল হলে পরবর্তীতে যে কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করলে লাভবান হতে পারবেন বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা জানান, টিউলিপ ফুল সর্বত্র পাওয়া যায় না এইফুল আসলে দুর্লভ। সারা বিশ্বে টিউলিপের অনেক উন্নত জাত থাকলেও মূলত টিউলিপের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। প্রারম্ভিক ফুল আসা টিউলিপ, মাঝামাঝি ফুল আসা টিউলিপ, দেরীতে ফুল আসা টিউলিপ। টিউলিপ চাষের উপযোগী আবহাওয়া টিউলিপ সম্পূর্ন রোদে বা আংশিক ছায়ায় জন্মানো যায়। টিউলিপ তুষারপাতের ক্ষেত্রে যেমন খুব সংবেদন শীল তেমনি গরম জলবায়ুতেও টিউলিপ বাড়ানো একটু কঠিন বলে জানান তিনি। তবে বান্দরবান জেলায় কোনো কৃষক বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ চাষ করলে বিএডিসি থেকে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
টিউলিপ ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম টিউলিপা (ঃঁষরঢ়ধ)। এটি লিলিয়েসি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। পাত্রে চাষাবাদের উপযোগী এক প্রকার পুষ্পজাতীয় উদ্ভিদ। এ ফুল বাগানে কিংবা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে জমিতেও চাষ করা হয়।
টিউলিপ বর্ষজীবী ও বসন্তকালীন ফুল হিসাবে পরিচিত। যা মুকুল থেকে জন্মায়। অধিকাংশ টিউলিপই ডাঁটা থেকে একটিমাত্র মুকুলের মাধ্যমে বিকশিত হয়। খাঁটি নীলাভ রং ছাড?া বিভিন্ন রঙের হয় এ ফুল। এর তিনটি পুষ্পদল এবং তিনটি বহিঃদল রয়েছে। ফলে এর অভ্যন্তরভাগ গাঢ? রঙের দেখায়। বিভিন্ন প্রজাতিতে এর উচ্চতা ভিন্নরূপ হয়। সচরাচর ৪ ইঞ্চি (১০ সে.মি.) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি (৭১ সে.মি.) পর্যন্ত উচ্চতা সম্পন্ন হয়। টিউলিপের ডাঁটায় সাধারণত দুই থেকে ছয়টি পাতা থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগাড়সহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

ইউরোপ আমেরিকার মতো বান্দরবানেও টিউলিপ ফুলের চাষ হলো ডিসি বাংলো

আপডেট সময়ঃ ০৯:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের বাসভবনে টিউলিপ ফুলের বাগান করা হয়েছে। ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দর্শনার্থী ভিড় করছেন টিউলিপ ফুলের বাগানে।
এই ফুল বাগানে ৬ রঙের টিউলিপ ফুল ফুটেছে। যত শীত পড়বে টিউলিপের জন্য তত ভালো। কিন্তু কুয়াশা পড়লে ফুলের জন্য ক্ষতি। এজন্য সানশেড দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক জানান, গত ১০ জানুয়ারি ৫০০ বীজ লাগানো হয় ৪-৫ দিনের মাথায় (১৫-১৬ জানুয়ারি) চারা গজিয়ে এক মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ ফুল হয়ে ফুটেছে। গাজিপুর থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই টিউলিপ আবার নেদারল্যান্ডস থেকে গাজীপুরে আনা হয়েছিল, গাজীপুর থেকে বর্তমান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বান্দরবানে এনে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সম্মুখে অল্প জায়গায় এই টিউলিপ ফুলের বাগান করেছেন বলে তিনি জানান।
বান্দরবানে এটি প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে। এটি সফল হলে পরবর্তীতে যে কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করলে লাভবান হতে পারবেন বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা জানান, টিউলিপ ফুল সর্বত্র পাওয়া যায় না এইফুল আসলে দুর্লভ। সারা বিশ্বে টিউলিপের অনেক উন্নত জাত থাকলেও মূলত টিউলিপের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। প্রারম্ভিক ফুল আসা টিউলিপ, মাঝামাঝি ফুল আসা টিউলিপ, দেরীতে ফুল আসা টিউলিপ। টিউলিপ চাষের উপযোগী আবহাওয়া টিউলিপ সম্পূর্ন রোদে বা আংশিক ছায়ায় জন্মানো যায়। টিউলিপ তুষারপাতের ক্ষেত্রে যেমন খুব সংবেদন শীল তেমনি গরম জলবায়ুতেও টিউলিপ বাড়ানো একটু কঠিন বলে জানান তিনি। তবে বান্দরবান জেলায় কোনো কৃষক বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ চাষ করলে বিএডিসি থেকে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
টিউলিপ ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম টিউলিপা (ঃঁষরঢ়ধ)। এটি লিলিয়েসি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। পাত্রে চাষাবাদের উপযোগী এক প্রকার পুষ্পজাতীয় উদ্ভিদ। এ ফুল বাগানে কিংবা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে জমিতেও চাষ করা হয়।
টিউলিপ বর্ষজীবী ও বসন্তকালীন ফুল হিসাবে পরিচিত। যা মুকুল থেকে জন্মায়। অধিকাংশ টিউলিপই ডাঁটা থেকে একটিমাত্র মুকুলের মাধ্যমে বিকশিত হয়। খাঁটি নীলাভ রং ছাড?া বিভিন্ন রঙের হয় এ ফুল। এর তিনটি পুষ্পদল এবং তিনটি বহিঃদল রয়েছে। ফলে এর অভ্যন্তরভাগ গাঢ? রঙের দেখায়। বিভিন্ন প্রজাতিতে এর উচ্চতা ভিন্নরূপ হয়। সচরাচর ৪ ইঞ্চি (১০ সে.মি.) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি (৭১ সে.মি.) পর্যন্ত উচ্চতা সম্পন্ন হয়। টিউলিপের ডাঁটায় সাধারণত দুই থেকে ছয়টি পাতা থাকে।