ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের উচ্ছ্বাস

- আপডেট সময়ঃ ০৮:১৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
- / ২৭৯ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আতশবাজিতে গত শুক্রবার রাতে ফিলিস্তিনের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তির আনন্দ উদযাপনে এই আতশবাজি।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি চুক্তির আওতায়, ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির প্রথম ধাপে এই নারী ও শিশুরা ইসরায়েল থেকে গাজায় ফিরেছে। সাঁজোয়া যানের পাহারায় দুটি সাদা বাসে বন্দীদের ওফার সামরিক ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসার পরে পশ্চিম তীর জুড়ে জনতা উল্লাস করেছে। তারা ফিলিস্তিনি ও হামাসের পতাকা নেড়েছে।
তারা ফিলিস্তিনিদের সাদাকালো রুমাল নেড়েছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকা জুড়ে প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে সদ্য মুক্তি পাওয়া মারাহ বাকির (২৪) বলেছেন, ‘আমি খুশি কিন্তু আমার মুক্তি শহীদদের রক্তের মূল্যে এসেছে।’ আট বছর ধরে কারাগারে থাকা বাকির বলেন, ‘কারাগারের চার দেয়াল’ থেকে মুক্তি ছিল ‘বিশাল ঘটনা’।
মারাহ বাকির পূর্ব জেরুজালেমের বেইট হানিনায় তার বাড়িতে ফিরে আসার পর এএফপি-কে বলেন, ‘আমি আমার শৈশব এবং আমার কৈশোর কারাগারে কাটিয়েছি, আমার বাবা-মা এবং তাদের আলিঙ্গন থেকে অনেক দূরে।’গাজায় যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাস ১৩ জন জিম্মিকে ইসরায়েলের হাছে হস্তান্তর করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মোট ৩৯ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। ৫৮ বছর বয়সী হানান আল-বারঘৌতি ইসরায়েলি হেফাজত থেকে দুই মাস পর মুক্তি পেয়েছেন।
তিনি হামাসের সশস্ত্র শাখার নেতা এবং গাজার জনগণের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে তাদের উত্তম প্রতিদান দিন। যদি গাজার জনগণ না থাকত, আমরা স্বাধীনতা দেখতে পেতাম না। আমরা কারাগারের ভিতরে ছিলাম, নির্যাতন ভোগ করছিলাম।” বন্দিদের মুক্তির আগে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছিল।
কারাগারের কাছে সাদা ধোঁয়ায় ভরে যায়। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন। দীর্ঘ ৪৮ দিন নির্ঘুম থাকার পর অবশেষে গতকাল দিবাগত রাতে স্বস্তিতে ঘুমাতে পেরেছে গাজাবাসী।
শর্ত অনুযায়ী শুক্রবার ইসরায়েল ও হামাস পরস্পর জিম্মি ও বন্দি বিনিময় শুরু করেছে। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধ রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর অনবরত হামলায় বিপর্যস্ত গাজাবাসী একটু স্বস্তি দেখা পেল। সেই সঙ্গে স্বজনদের কাছে পাওয়ার আনন্দ। সূত্র: বাসস, এএফপি