উন্নত বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

- আপডেট সময়ঃ ০৮:২২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
- / ১১৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, একসময় খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য জোগানোর সাথে সাথে এখন আমরা খাবারের মান নিশ্চিত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এটি আমাদের গ্রামীণ কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে নগরায়ন ও শিল্পোন্নত দেশের পথে অগ্রযাত্রার ফসল। তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্যবান জাঁতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। কারণ একটি জাঁতি শুধু অর্থনীতির মানদ-ে উন্নত জাতিতে পরিণত হয় না, সেখানে নিরাপদ খাবার এবং সুস্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। টেকসই উন্নয়নের জন্য তাই সবার জন্য নিরাপদ খাবারের সংস্থান করতে হবে। আজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ঢাকা ফুড এজেন্ডা-২০৪১ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আরবান ফুড ফিউচারস: এশিয়ান পারসপেক্টিভস’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে দুদিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের এমন একটি সংবিধান দিয়েছেন যেখানে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি অন্যান্য মৌলিক চাহিদা, যেমন খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, আশ্রয় ও বাসস্থান সবকিছুর দিকনির্দেশনা রয়েছে। সেই পথনকশা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী জনগণের নিরাপদ খাবারের সংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছেন। মানসম্মত নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ এরইমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে আরও বিভিন্ন উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর এ্যান ভ্যান লিওয়েন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।