ঢাকা, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:২০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান কেবল কোনো ব্যক্তির পরিবর্তন নয়; এটা ক্ষমতা থেকে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানোর পরিকল্পনা ছিল না। বরং কীভাবে রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার রক্ষা করা যায় এরকম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ছিল। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এনসিপি। যে দলের প্রধান শক্তি ও ভিত্তির জায়গাটা হচ্ছে এই দেশের তরুণরা। সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে আমাদের যে বক্তব্য ছিল – আমরা ফ্যাসিবাদের বিলোপ ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন সময় জনগণ রাস্তায় নেমেছে, আন্দোলন করেছে। আমরা ৯০ গণঅভ্যুত্থানের কথা বইয়ে পড়েছি। কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষায় জনগণের রাস্তায় নেমে আসা সে আকাঙ্ক্ষাগুলো বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতার ফলেই ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা চাই, এবারের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়। জনগণের ভেতরে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এটা জাতির প্রতি আমাদের সকলেরই অঙ্গীকার। সংস্কার বলতে এনসিপি মৌলিক সংস্কারের কথা বলছে জানিয়ে নাহিদ আরও বলেন, যে সংস্কার করলে রাষ্ট্রকাঠামো গুণগত আমূল পরিবর্তন সম্ভব হবে। কারণ, আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে আমাদের সংবিধান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ ঘটেছিল। আমাদের সংবিধানে একব্যক্তি কেন্দ্রিক একটি কাঠামোর বীজ বুনেছিল। ফলে সেই রাষ্ট্রকাঠামোকে অক্ষুণ্ন রেখে যে-ই ক্ষমতায় যাক তার ভেতরেও ফ্যাসিবাদী প্রবণতা থাকবে, স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠার প্রবণতা থাকবে। সেই জায়গায় রাষ্ট্রের সংস্কার, সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে এনসিপি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এনসিপির ভাবনার কথা উল্লেখ করে দলটির আহ্বায়ক বলেন, এবার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের জাতির সামনে, জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন, জুলাই সনদ প্রয়োজন। জাতির সামনে আমাদের সকলেই সেই অঙ্গীকার রাখতে হবে যেন আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আরেকটি ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে আসার সকল রাস্তা আমরা বন্ধ করে সামনের দিকে এগোব। একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান, রাষ্ট্রকাঠামো তৈরিতে আমরা সকলেই যার যার জায়গা থেকে কাজ করব। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন ও ড. ইফতেখারুজ্জামান। এনসিপির পক্ষ থেকে থেকে অংশ নেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসেল। গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টায় শেরে বাংলা নগরে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠকের প্রথমার্ধ শেষে সাংবাদিকদের এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এখানে প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাই ক্ষমতার ভারসাম্য চায় এনসিপি। বৈঠক শুরু হয় সকাল পৌনে ১১টায়। শেষ হবে বিকাল ৪টায়। আখতার বলেন, বৈঠকে আমরা মৌলিক সংস্কারের কথা বলেছি। গণপরিষদ নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া যেন শান্তিপূর্ণ হয়, সে প্রস্তাবও তুলে ধরেছি আমরা। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের কথা বলেছি। নির্বাচনের আগে গণহত্যার বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তা দৃশ্যমান করতেই নির্বাচন প্রয়োজন। অবশ্য তার আগে গণহত্যার বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য যে সময় দরকার সরকার তা পেতেই পারে। সে বিষয়ে আমরা কমিশনের কাছে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেছি। তত্ত্বাবধায় বা নির্বাচনকালীন সরকারের ক্ষেত্রে নির্বাচন শব্দটি যুক্ত করার কথা বলেছি। নির্বাচনের দায়িত্বটাই তারা পালন করবেন, আমরা সেই বিষয়টার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছি। এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন, প্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেছি। দুদকসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে এখনও আলোচনা করতে পারিনি। তবে পুলিশ সংস্কারের বিষয়টি এখানে কেন অন্তর্ভুক্ত তা জানতে চেয়েছি। এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কেন হয়েছে, আগে তা উপলব্ধি করতে হবে। একচ্ছত্র ক্ষমতার বিষয়টি যেন না থাকে তাও উল্লেখ করা হয়। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যদি আগের মতোই হয়, তাহলে কোনও লাভ নেই। জাতীয় স্বার্থে এসব বিষয় আমাদের ঐকমত্যে পৌঁছতে হবে। তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন, আমরা দুটি নির্বাচন চাই। আসলে আমরা একটি নির্বাচনই চাই। যার নাম হবে আইনসভার নির্বাচন। সেটা পরে গণপরিষদের মর্যাদা পাবে। কারণ যেকোনও সংশোধনী পরবর্তী সরকার চ্যালেঞ্জ করতে পারে। যেমন-বিগত সরকারের ১৫তম সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। গণপরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে করা আমাদের এখনকার সংশোধনীগুলো নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ

আপডেট সময়ঃ ০৭:২০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান কেবল কোনো ব্যক্তির পরিবর্তন নয়; এটা ক্ষমতা থেকে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানোর পরিকল্পনা ছিল না। বরং কীভাবে রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার রক্ষা করা যায় এরকম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ছিল। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এনসিপি। যে দলের প্রধান শক্তি ও ভিত্তির জায়গাটা হচ্ছে এই দেশের তরুণরা। সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে আমাদের যে বক্তব্য ছিল – আমরা ফ্যাসিবাদের বিলোপ ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন সময় জনগণ রাস্তায় নেমেছে, আন্দোলন করেছে। আমরা ৯০ গণঅভ্যুত্থানের কথা বইয়ে পড়েছি। কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষায় জনগণের রাস্তায় নেমে আসা সে আকাঙ্ক্ষাগুলো বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতার ফলেই ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা চাই, এবারের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়। জনগণের ভেতরে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এটা জাতির প্রতি আমাদের সকলেরই অঙ্গীকার। সংস্কার বলতে এনসিপি মৌলিক সংস্কারের কথা বলছে জানিয়ে নাহিদ আরও বলেন, যে সংস্কার করলে রাষ্ট্রকাঠামো গুণগত আমূল পরিবর্তন সম্ভব হবে। কারণ, আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে আমাদের সংবিধান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ ঘটেছিল। আমাদের সংবিধানে একব্যক্তি কেন্দ্রিক একটি কাঠামোর বীজ বুনেছিল। ফলে সেই রাষ্ট্রকাঠামোকে অক্ষুণ্ন রেখে যে-ই ক্ষমতায় যাক তার ভেতরেও ফ্যাসিবাদী প্রবণতা থাকবে, স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠার প্রবণতা থাকবে। সেই জায়গায় রাষ্ট্রের সংস্কার, সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে এনসিপি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এনসিপির ভাবনার কথা উল্লেখ করে দলটির আহ্বায়ক বলেন, এবার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের জাতির সামনে, জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন, জুলাই সনদ প্রয়োজন। জাতির সামনে আমাদের সকলেই সেই অঙ্গীকার রাখতে হবে যেন আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আরেকটি ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে আসার সকল রাস্তা আমরা বন্ধ করে সামনের দিকে এগোব। একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান, রাষ্ট্রকাঠামো তৈরিতে আমরা সকলেই যার যার জায়গা থেকে কাজ করব। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন ও ড. ইফতেখারুজ্জামান। এনসিপির পক্ষ থেকে থেকে অংশ নেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসেল। গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টায় শেরে বাংলা নগরে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠকের প্রথমার্ধ শেষে সাংবাদিকদের এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এখানে প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাই ক্ষমতার ভারসাম্য চায় এনসিপি। বৈঠক শুরু হয় সকাল পৌনে ১১টায়। শেষ হবে বিকাল ৪টায়। আখতার বলেন, বৈঠকে আমরা মৌলিক সংস্কারের কথা বলেছি। গণপরিষদ নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া যেন শান্তিপূর্ণ হয়, সে প্রস্তাবও তুলে ধরেছি আমরা। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের কথা বলেছি। নির্বাচনের আগে গণহত্যার বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তা দৃশ্যমান করতেই নির্বাচন প্রয়োজন। অবশ্য তার আগে গণহত্যার বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য যে সময় দরকার সরকার তা পেতেই পারে। সে বিষয়ে আমরা কমিশনের কাছে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেছি। তত্ত্বাবধায় বা নির্বাচনকালীন সরকারের ক্ষেত্রে নির্বাচন শব্দটি যুক্ত করার কথা বলেছি। নির্বাচনের দায়িত্বটাই তারা পালন করবেন, আমরা সেই বিষয়টার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছি। এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন, প্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেছি। দুদকসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে এখনও আলোচনা করতে পারিনি। তবে পুলিশ সংস্কারের বিষয়টি এখানে কেন অন্তর্ভুক্ত তা জানতে চেয়েছি। এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কেন হয়েছে, আগে তা উপলব্ধি করতে হবে। একচ্ছত্র ক্ষমতার বিষয়টি যেন না থাকে তাও উল্লেখ করা হয়। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যদি আগের মতোই হয়, তাহলে কোনও লাভ নেই। জাতীয় স্বার্থে এসব বিষয় আমাদের ঐকমত্যে পৌঁছতে হবে। তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন, আমরা দুটি নির্বাচন চাই। আসলে আমরা একটি নির্বাচনই চাই। যার নাম হবে আইনসভার নির্বাচন। সেটা পরে গণপরিষদের মর্যাদা পাবে। কারণ যেকোনও সংশোধনী পরবর্তী সরকার চ্যালেঞ্জ করতে পারে। যেমন-বিগত সরকারের ১৫তম সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। গণপরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে করা আমাদের এখনকার সংশোধনীগুলো নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।