এবারের বিপিএলে দল পাচ্ছে না নোয়াখালী ও খুলনা
- আপডেট সময়ঃ ০৩:০৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ৩০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গেল আসরকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল নানান বিতর্ক। একাধিক দলের বিরুদ্ধে উঠেছে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ। এমনকি হোটেল বিল পরিশোধ করেনি এমন ফ্র্যাঞ্চাইজিও ছিল। যার কারণে ১২তম আসর নিয়ে সতর্ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড।
এবারের আসরে দল নেওয়ার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৮ অক্টোবর। এবারের আসরে যেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোতে দল দেওয়া হবে। আগামী পাঁচ আসরে তাদের থাকতে হবে। ২০২৭ সাল থেকে সেটা আরও ১৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি হতে থাকবে। সবমিলিয়ে ৫ বছরে মোট সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ফি জমা দিতে হবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। এ ছাড়া প্রতি আসরের আগে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ৬ মাসের জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে।
বিপিএলের আগামী আসর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের লভ্যাংশের ৩০ শতাংশ শেয়ার করবে বিসিবি। এমন শর্ত মেনে মোট ১১টি কোম্পানি দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। যেখানে রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুইটি প্রতিষ্ঠান। তবে একই ভুল বারবার করতে চায় না বিসিবি। যার কারণে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে দল দিতে চায় সংস্থাটি।
এবারের আসরে কোন কোন কোম্পানিকে দল দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে গতকাল বিসিবি ভবনে সভা করেছিল বোর্ড পরিচালকরা। সভা শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠু সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ১১টা কোম্পানির মধ্যে শর্ট লিস্ট করে ৮ কোম্পানিকে দল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাদ পড়েছে তিনটি কোম্পানি। মূলত দল দিতে অনেক ডকুমেন্ট চাওয়া হয়েছিল ইউআইতে, এই তিনটা কোম্পানির ডকুমেন্টস ছিল না বলে তারা কোয়ালিফাই করতে পারেনি।’
শর্ট লিস্ট থেকে বাদ পড়া কোম্পানিগুলো হলো মাইন্ড ট্রি, বাংলামার্ক ও এসকিউ। মাইন্ড ট্রি কোম্পানি খুলনা, বাংলামার্ক নোয়াখালী এবং এসকিউ চিটাগং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আবেদন করেছিল। তবে শর্ট লিস্টে থাকা ৮ কোম্পানি যে দল পাবে, সেটাও এখনো নিশ্চিত নয়। কারা কারা দল পাচ্ছে সেটা আগামীকাল বোর্ড সভা শেষে জানা যাবে।


















