ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

এবি ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ, হাইকোর্টে আইজিপির প্রতিবেদন

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২
  • / ২০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত এবি ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তার কাউকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ। হাইকোর্টে এমন প্রতিবেদন দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ। তবে তাদের বিদেশযাত্রা আটকাতে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আদালতের নির্দেশের পরও ওই ১৭ কর্মকর্তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও আইজিপির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে ২৬ জুন এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপি গতকাল বুধবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে আর বলা হয়, রাজধানীর ৭টি থানার পুলিশ আসামিদের সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে কাউকেই খুঁজে পায়নি। এ কারণে আসামিদের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে ইমিগ্রেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এরশাদ আলী নামে এক ব্যক্তি এবি ব্যাংকের কাকরাইলের শাখা থেকে পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পে পাথর সরবরাহের ৬টি ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওয়ার্ক অর্ডারসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই এ ঋণ দেন ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ২০২১ সালের জুনে কথিত এরশাদ ব্রাদার্স কর্পোরেশনের মালিক এরশাদ আলী এবং এবি ব্যাংকের সাবেক দুই এমডি শামীম আহমেদ ও মসিউর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এছাড়া ২০১৭-১৮ সালে ৭টি ব্যাংক গ্যারান্টি প্রস্তুত করে আরও ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

এবি ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ, হাইকোর্টে আইজিপির প্রতিবেদন

আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত এবি ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তার কাউকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ। হাইকোর্টে এমন প্রতিবেদন দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ। তবে তাদের বিদেশযাত্রা আটকাতে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আদালতের নির্দেশের পরও ওই ১৭ কর্মকর্তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও আইজিপির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে ২৬ জুন এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপি গতকাল বুধবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে আর বলা হয়, রাজধানীর ৭টি থানার পুলিশ আসামিদের সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে কাউকেই খুঁজে পায়নি। এ কারণে আসামিদের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে ইমিগ্রেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এরশাদ আলী নামে এক ব্যক্তি এবি ব্যাংকের কাকরাইলের শাখা থেকে পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পে পাথর সরবরাহের ৬টি ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওয়ার্ক অর্ডারসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই এ ঋণ দেন ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ২০২১ সালের জুনে কথিত এরশাদ ব্রাদার্স কর্পোরেশনের মালিক এরশাদ আলী এবং এবি ব্যাংকের সাবেক দুই এমডি শামীম আহমেদ ও মসিউর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এছাড়া ২০১৭-১৮ সালে ৭টি ব্যাংক গ্যারান্টি প্রস্তুত করে আরও ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।