ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ওএমএস বিতরণে গাফিলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • / ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) বিতরণে গাফিলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ হলে এক ব্যক্তির একাধিকবার চাল-আটা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। অন্য কোনো এলাকার কার্ডধারী কিনা তাও সহজে শনাক্ত করা যাবে। এতে প্রকৃত গরিব মানুষের কাছে ওএমএস পৌঁছানো সম্ভব হবে। আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদিত পণ্যের নায্যমূল্য না দিতে পারলে কৃষক উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। তাদের উৎসাহিত করতে এবার বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ধানের দাম দুই টাকা বৃদ্ধি করেছে।’ ওএমএস বিতরণে কোনো গাফিলতি হলে ডিলার ও খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।’ ওএমএস বিতরণে গাফলতি হলে জেল জরিমানারও হুশিয়ারি দেন তিনি। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘১৪ লাখ উপকারভোগী বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল ও আটা সংগ্রহ করতে পারবেন। ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক উপকারভোগী এই কার্ডের সুবিধায় যুক্ত হবেন।’ এ সময় কার্ড দেওয়ায় যাতে কোনো ডুপ্লিকেশন না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। মাত্র ৩০ টাকায় ওএমএস দেওয়া হচ্ছে। আবার ১ কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে চাল পাচ্ছেন।’ সরকারের প্রতি কেজি চাল ক্রয়ে ৫৫ টাকার মতো খরচ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই চাল ভর্তুকি দিয়ে ৩০ টাকায় দরিদ্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। আবার তিনিই স্মার্ট বাংলাদেশের ডাক দিয়েছেন।’ স্মার্ট বাংলাদেশের সব সেবা পর্যায়ক্রমে স্মার্ট সেবায় পরিণত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের মানুষকে একটু ভালো রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। ওএমএস দরিদ্র মানুষের জন্য শেখ হাসিনার উপহার। এটি বিতরণে সবাইকে দুর্নীতিমুক্ত থেকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।’ খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ হোসেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী ওই কেন্দ্রের উপকারভোগীদের হাতে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রয় করা ওএমএসর চাল-আটার প্যাকেট তুলে দেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ওএমএস বিতরণে গাফিলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর

আপডেট সময়ঃ ০৮:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) বিতরণে গাফিলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ হলে এক ব্যক্তির একাধিকবার চাল-আটা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। অন্য কোনো এলাকার কার্ডধারী কিনা তাও সহজে শনাক্ত করা যাবে। এতে প্রকৃত গরিব মানুষের কাছে ওএমএস পৌঁছানো সম্ভব হবে। আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদিত পণ্যের নায্যমূল্য না দিতে পারলে কৃষক উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। তাদের উৎসাহিত করতে এবার বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ধানের দাম দুই টাকা বৃদ্ধি করেছে।’ ওএমএস বিতরণে কোনো গাফিলতি হলে ডিলার ও খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।’ ওএমএস বিতরণে গাফলতি হলে জেল জরিমানারও হুশিয়ারি দেন তিনি। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘১৪ লাখ উপকারভোগী বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল ও আটা সংগ্রহ করতে পারবেন। ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক উপকারভোগী এই কার্ডের সুবিধায় যুক্ত হবেন।’ এ সময় কার্ড দেওয়ায় যাতে কোনো ডুপ্লিকেশন না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। মাত্র ৩০ টাকায় ওএমএস দেওয়া হচ্ছে। আবার ১ কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে চাল পাচ্ছেন।’ সরকারের প্রতি কেজি চাল ক্রয়ে ৫৫ টাকার মতো খরচ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই চাল ভর্তুকি দিয়ে ৩০ টাকায় দরিদ্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। আবার তিনিই স্মার্ট বাংলাদেশের ডাক দিয়েছেন।’ স্মার্ট বাংলাদেশের সব সেবা পর্যায়ক্রমে স্মার্ট সেবায় পরিণত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের মানুষকে একটু ভালো রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। ওএমএস দরিদ্র মানুষের জন্য শেখ হাসিনার উপহার। এটি বিতরণে সবাইকে দুর্নীতিমুক্ত থেকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।’ খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ হোসেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী ওই কেন্দ্রের উপকারভোগীদের হাতে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রয় করা ওএমএসর চাল-আটার প্যাকেট তুলে দেন।