কার্গো ভিলেজে আগুন পোশাক শিল্পের জন্য বড় ক্ষতি

- আপডেট সময়ঃ ০৪:৫২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল ও গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল (নমুনা পণ্য) ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক খান বাবলু।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরে পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গতকালকের আগুনে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন জানিয়ে এনামুল হক খান বাবলু বলেন, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প, বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। সাধারণত উচ্চমূল্যের ও অতি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসম্ভার আকাশপথে আনা হয়। এই ধরনের বহু গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আগুনে পুড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ধ্বংস হওয়া মালামালের মধ্যে পোশাক তৈরির কাঁচামাল ও অসংখ্য স্যাম্পল ছিল। এসব স্যাম্পলই নতুন রপ্তানি অর্ডারের পথ উন্মুক্ত করে। সেগুলো পুড়ে যাওয়া মানে নতুন বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ হারানো।
আমরা এখন ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করছি। এজন্য পোশাক কারখানাগুলোর উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট ফরমে তথ্য পাঠাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিজিএমইএর এই নেতা বলেন, আমাদের সদস্যদের প্রায় সবাই আকাশপথে পণ্য সংগ্রহ করেন। এমন উদ্যোক্তার সংখ্যা ২০০ থেকে ২৫০ জনের মতো।
এই বিপুল ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, যেন সার্বিক সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একইসঙ্গে রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তাও দিতে হবে। এখন শুষ্ক মৌসুম চলছে— তাই উদ্যোক্তাদের আগুনের ঝুঁকি সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা প্রায় সব পণ্যই পুড়ে গেছে। ভেতরে গিয়ে আমরা বুঝতে পারলাম ঘটনাটি কতটা ভয়াবহ।
এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অন্তত ১৫ দিন থেকে ১ মাস সময় লাগতে পারে।
বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, যেহেতু বর্তমানে আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, তাই এখন থেকে নতুন আমদানি পণ্য নবনির্মিত থার্ড টার্মিনালে রাখা হবে। নতুন আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত ছাড় করার জন্যও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। সাধারণত কোনো পণ্য ছাড় করতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে— এখন থেকে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হবে।