নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির জন্য কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার জন্য জেলা প্রশাসককে জবাবদিহি করতে হবে। গত সোমবার রাতে চৌমুহনীতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন মন্দির ও পূজাম-প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। বিচারপতি সামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, এ দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার। আমরা জানি কুমিল্লায় কী হয়েছে। সেখানকার ধর্মীয় উন্মাদনার জেরে সারাদেশেই এ অবস্থা। একটি পক্ষ ইচ্ছে করেই সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো দেশকে আবার পাকিস্তানে রূপান্তরিত করা। এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশকে আবার তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করা, পাকিস্তানে পরিণত করা। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার জন্য নোয়াখালীর জেলা প্রশাসকের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ডিসিকে জবাবদিহি করতে হবে, কেন ব্যর্থ হলো। তারতো বোঝা উচিত ছিল যেদিন বিসর্জন হবে সেদিন গ-গোল হতে পারে। তাকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। যদি না দেয়, তাহলে সে যেন ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করবো। গণতদন্ত কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি থাকবে তাকে যেন বহিষ্কার করা হয়। এ সময় তিনি মন্দিরের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোল্লা হাবিবুর রাসুল মামুন ও উন্নয়নকর্মী আবদুল আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষঃ
কুমিল্লার ঘটনায় জেলা প্রশাসককে জবাবদিহি করতে হবে: বিচারপতি মানিক
-
দৈনিক আইন বার্তা
- আপডেট সময়ঃ ০৮:০৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
- ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ