নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর কাকরাইল ও ওয়ারী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন- সুমন পাল ও মো. রুবেল। সোমবার গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শামসুল আরেফীন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাজধানীর পল্টন থানার ২৫/১ কাকরাইল এলাকা থেকে একটি বস্তাসহ তাদেরকে আটক করে লালবাগ জোনাল টিম। পরে বস্তাটি তল্লাশি করে ৬০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। গ্রেপ্তার রুবেলের দেয়া তথ্যমতে ওয়ারী থানার বনগ্রামের ২২নং ডালিয়া নিবাসের একটি ফ্ল্যাট থেকে আরও ছয় হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এডিসি শামসুল আরেফীন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে গ্রেপ্তার সুমন জানিয়েছেন, বস্তায় থাকা ইয়াবা কুরিয়ারের মাধ্যমে নিজেই কক্সবাজার থেকে পাঠিয়েছেন তিনি। নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে পার্সেল রিসিভ করে রুবেলের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বিমানে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। গ্রেপ্তাররা কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি এবং তা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতো। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা এ কর্মকর্তা।
ফেনসিডিলসহ তিনজন গ্রেপ্তার: মুরগি পরিবহনের গাড়ি থেকে ১৫৫ বোতল ফেনসিডিলসহ তিন মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. রাজু হাসান (৩৩), মো. সাকিব হোসেন (২৩) ও মো. রবিউল ইসলাম (৩৫)।  সোমবার র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের একটি চালানের লেনদেনের বিষয়ে জানতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা নজরদারি শুরু করে ও চালানটির গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে। গত রোববার রাতে র‌্যাবের দলটি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়ীবাঁধ তিন রাস্তার মোড় এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশি করতে থাকে। গতকাল সোমবার ভোরে মুরগি ও ছাগল বোঝাই একটি পিকআপ ওই স্থানে পৌঁছালে থামার জন্য সংকেত দেয়া হয়। এ সময় গাড়ি থামিয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে তিন মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া গাড়িতে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৫৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের আড়ালে ফেনসিডিল বহন করে আসছিলেন। এরপর তা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মাদককারবারি ও মাদক সেবনকারীদের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।