কোয়াব নেতাদের ধর্মঘটে না যাওয়ার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

- আপডেট সময়ঃ ০৮:০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
- / ১০৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতাদের ধর্মঘটে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। দাবি পূরণে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশের নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা ধর্মঘট ডেকেছে কেবল অপারেটরা। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা বাংলাদেশি চ্যানেলগুলোকে দেখাচ্ছে। এর প্রতিবাদে কেবল অপারেটররা সোমবার ধর্মঘট ডেকেছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি কোয়াব মেম্বারদের বলবো এ ধরনের ধর্মঘট ডাকা থেকে বিরত থাকার জন্য। কেন বলবো- কারণ আমি তো তাদের সঙ্গে বসেছি, কথা বলেছি। তারা এ বিষয়গুলো আমার কাছে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, এগুলো তুলে ধরার পর আমি একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলেছি, আইনের বাইরে গিয়ে কেউ কোনো কিছু করতে পারবে না। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো যা করছে সবগুলো চ্যানেলকে প্যাকেজ করে এটাতো বেআইনি। আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি এগুলো দেখার জন্য। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়েছি। কোয়াব থেকে দুজন, অ্যাটকো থেকে দুজন, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন থেকে দুজন প্রতিনিধি পাঠাতে, ডিটিএইচ থেকেও প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয়েছে। তাদের নিয়ে একটি কোলাবরেশন সেল করা হয়েছে, শিগগির মিটিং হবে। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সেখান থেকে সবগুলো সমস্যার সমাধানের পথে আমরা এগোবো। আমরা যেহেতু কথাগুলো শুনেছি এবং কাজ করছি, মাঝপথে এসে আমি মনে করি এ ধরনের ধর্মঘটে যাওয়া ঠিক হবে না। আমি তাদের অনুরোধ করবো এগুলোর মধ্যে না গিয়ে আমরা তো কাজ করছি, কথা বলছি। আইনের মধ্য থেকে সব সমস্যার সমাধান করবো। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা মূল ধারার গণমাধ্যমে অপতথ্য কীভাবে ডিল করে সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত আরেকটি কথা বলেছেন যে, রেগুলেশন গণমাধ্যমে স্বাধীনতাকে যেভাবে ব্যাহত করতে পারে, আবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করার জন্য রেগুলেশন দরকার। তিনি বলেন, আমি চাচ্ছি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা পাশ্চাত্যের দেশগুলো অপতথ্য কীভাবে ব্যবস্থাপনা করে সেই বিষয়গুলো জানা ও বুঝা। বাংলাদেশের সরকার এবং মানুষের প্রতি ফ্রান্সের আস্থা আছে জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্স বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায়। অপতথ্য মোকাবিলায় তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, এমনকি তাদের চ্যানেল ফ্রান্স-২৪ সরকারি সাবসিডি নিয়ে চলে, আমি বলেছি বিটিভির সঙ্গে আমরা একটি কোলাবারেশন করতে চাই। সে বিষয়ে আমি সহযোগিতা চেয়েছি।
সাংবাদিককে কারাদ-ের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত: এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শফিউর রহমান রানা নামের এক সাংবাদিককে কারাদ- দেওয়ার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি। আজ রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার মো. আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টির খোঁজ-খবর নেন। এ সময় ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ঘটনাটির খোঁজ নিলে প্রধান তথ্য কমিশনার প্রতিমন্ত্রীকে জানান, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী এ বিষয়ে তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ১০ মার্চ শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাবেন। সোমবার তথ্য কমিশনে তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান তথ্য কমিশনার। এর আগে ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রুপান্তরের সাংবাদিক জেলে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য কমিশন থেকে তথ্য অধিকার আইনের ২৫(৫) ধারা অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার দেশ রূপান্তর পত্রিকার সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা একই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।